সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করা হচ্ছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ঠিক রাখার লক্ষ্যে সরকার দেশের একমাত্র প্রবাল সেন্টমার্টিনে পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি- এই তিন মাস সেখানে পর্যটক সীমিত থাকবে। আর ফেব্রুয়ারি সেখানে কোনো পর্যটকদের যেতে দেয়া হবে না।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নভেম্বরে পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন কিন্তু রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে পর্যটকরা যেতে পারবেন এবং রাত্রিযাপনও করতে পারবেন, তবে দিনে দুই হাজারের বেশি পর্যটক সেখানে যাওয়ার থাকবে না। আর ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটকদের প্রবেশাধিকার থাকবে না এই দ্বীপে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন একটি কোড়াল দ্বীপ। তাই এই দ্বীপের পরিবেশগত বৈচিত্র্য ধরে রাখতে বছরের চার মাস সেখানে পর্যটকদের সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এসব পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে দ্বীপে পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটতে পারে। মূলত এ কারণে সরকারের এসব সিদ্ধান্ত নেয়া।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপ পরিষ্কার করা হবে- সে জন্য ওই মাসে সেখানে পর্যটকদের প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখা হবে। এ ছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিক পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, প্রতিটি নাগরিকের দাবি জানানোর অধিকার আছে। দীর্ঘ দিনের অপশাসনের কারণে মানুষের মনে অনেক ক্ষোভ রয়েছে। তাই যেকোনো যৌক্তিক দাবি শুনতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে এবং পর্যালোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। তবে রাস্তা বন্ধ রেখে বা জনদুর্ভোগ তৈরি করে- এমন প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে দাবি না জানানোর জন্য তিনি অনুরোধ জানন। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট চ্যানেলে মাধ্যমে যে কেউ সরকারের কাছে দাবি জানাতে পারে।
অপর এক প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে যে সার্চ কমিটি হতে যাচ্ছে; সেটি আইন রীতি মেনে হবে। নির্বাচনের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এই সার্চ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সার্চ কমিটি গঠন নির্বাচন সংস্কারের অংশ এবং অন্যান্য সংস্কার সমান্তরালভাবে চলবে।
আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, মামলা করা একজন নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার। এর থেকে কাউকে সরকার ঠেকাতে পারবে না। তবে সরকার বারবার বলে আসছে ঠালাওভাবে যেন মামলা না হয়। সরকার দৃঢভাবে স্পষ্ট করেছে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি প্রমাণ না পাওয়া যায়, তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মামলাসংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, তিনি নিজেই বলেছেন তার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, সেটি কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা বা সরকারের পক্ষ থেকে হয়নি। এটি ব্যক্তি উদ্যোগে হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা