২২ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩০, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

১০ দফা দাবিতে জয়দেবপুর রেলস্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি

-

সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি, টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন আবার চালুসহ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের ১০ দফা দাবিতে জয়দেবপুর জংশন স্টেশনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন নামের একটি সংগঠন। এ কর্মসূচি চলাকালে ওই জংশন হয়ে রাজধানী থেকে উত্তরাঞ্চলের ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। সোমবার সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচি চলাকালে সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো: শামসুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ভাষাসৈনিক ও গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন হোসাইন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হাসান আজমল ভূঁইয়া, সদর মেট্রো থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষক নেতা আসাদুজ্জামান নূর, গাজীপুর পূর্বাঞ্চল ঐক্য পরিষদের সভাপতি আলী আকবর মিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা ফারুক ইসলাম প্রমুখ।
সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী মো: শামসুল হক বলেন, জয়দেবপুর জংশন স্টেশন রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে। এ স্টেশন থেকে প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার যাত্রী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রেনে যাতায়াত করে। অথচ এ স্টেশনে যাত্রীসেবা অত্যন্ত নি¤œমানের।
সংগঠনের ১০ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করা এবং আসন সংখ্যা দু’শ থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার করা। তুরাগ ট্রেনে চারটি মহিলা কোচসহ অন্তত ১৬টি কোচ সংযুক্ত করে গাজীপুর-ঢাকা রুটে একাধিকবার চালানো।
ঢাকা-গাজীপুর বন্ধ রাখা মাসিক টিকিট ৪৫০ টাকা আবার চালু করা। টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন ফের চালু করা এবং টঙ্গী ও তেজগাঁও স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে একাধিকবার চলাচল করা। আসনবিহীন টিকিটের মূল্য এয়ারপোর্ট ও কমলাপুর যথাক্রমে ২০ ও ৩০ টাকা নির্ধারণ করা, টিকিট প্রাপ্তি সহজ করা ও যাত্রী হয়রানি বন্ধ করা। সব ট্রেনে কমপক্ষে ১২টি বগি সংযুক্ত করা। ট্রেন ও প্ল্যাটফর্ম হকার ও ভিক্ষুক মুক্ত রাখা। ঢাকা-গাজীপুর রেলপ্রকল্প দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা এবং জয়দেবপুর জংশন স্টেশনকে মানসম্মত ব্যবহার উপযোগী করা। জয়দেবপুর জংশন স্টেশন সংলগ্ন পশ্চিম দিকে বিকল্প বাইপাস সড়ক নির্মাণ ও বিআরটি টার্মিনালের সাথে সংযোগ স্থাপন করা।
এদিকে ট্রেন থামিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় এদিন সকালে ঢাকা অভিমুখী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। কিছু যাত্রীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেলেও অন্যান্য যাত্রীরা বলেন, স্থায়ী ভোগান্তি সমাধানের জন্য সাময়িক ভোগান্তি তাদের কাছে কোনো বিষয় নয়। আব্দুর রহমান নামক এক যাত্রী বলেন, জয়দেবপু রেলস্টেশন যেন যাত্রী ভোগান্তির এক অভয়াশ্রম।


আরো সংবাদ



premium cement