২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দেবীগঞ্জে স্কুলছাত্র পায়েল হত্যা তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড

-

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর তাঁতীপাড়া এলাকায় স্কুলছাত্র আসাদুজ্জামান পায়েলকে (১৭) অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে ৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রায় ৯ বছর পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় গতকাল সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক এস এম রেজাউল বারী এই রায় দেন। পায়েল স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীতে পড়ত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের বলরামপুর তাঁতীপাড়া এলাকার মহির উদ্দিনের ছেলে নুরুজ্জামান (৩৮), বলরামপুর ডাহেনা পাড়ার দুদু মিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩০) ও বলরামপুরের রশিদুল ইসলামের ছেলে হাসানুল ইসলাম (৩২)। রায় দেয়ার সময় আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার ফরহাদ হোসেন হাজির থাকলেও নুরুজ্জামান ও হাসানুল পলাতক আছেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটী ইউনিয়নে তাঁতীপাড়া এলাকার স্কুলছাত্র আসাদুজ্জামান পায়েল ২০১৫ সালের ১৮ জুন সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের দেউনিয়ার বাজারে হালখাতা খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। ওই দিন তার বাবা সুলতান আলী ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পর দিন ছেলের মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে ৩ দিনের মধ্যে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে ২০ জুন সুলতানের ভাই মহির উদ্দিন দেবীগঞ্জ থানায় জিডি করেন। ২২ জুন ভোরে সুলতান বাড়ির পাশের একটি পাটক্ষেতে প্রাকৃতিক কাজে গেলে গোপনে আইলে বসা ফরহাদ ও রশিদুলের মধ্যে পায়েলের হত্যা নিয়ে আলাপ করতে শুনেন। এরপরে বিষয়টি ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যানসহ স্থানীয়দের জানালে তাদের সহযোগিতায় নুরুজ্জামান, ফরহাদ ও রশিদুলকে আটক করা হয়। পরে নানাভাবে চাপ দিলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। হত্যাকারীরা জানান, পায়েলকে অপহরণ করে দেউনিয়ার বাজার থেকে এক কিলোমিটার পশ্চিমে সোনামিয়ার পাটক্ষেতে নিয়ে ফরহাদ ও রশিদুলের সহযোগিতায় শ^াসরোধ করে হত্যার পর আধা কিলোমিটার উত্তরে আকবর আলী নামের এক ব্যক্তির পুকুরে বস্তাবন্দী করে ফেলে রাখে।
পরে সেই তথ্যের ভিত্তিতে রাশ উদ্ধার এবং তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর ২২ জুন দেবীগঞ্জ থানায় ওই তিনজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন পায়েলের বাবা সুলতান আলী। এই মামলায় ২০১৫ সালের ৩১ আগস্ট ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান।
এরপর দীর্ঘ ৯ বছর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আদালত এই দণ্ডাদেশ দেন।
মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী এবিএম জুলফিকার আলী নয়ন বলেন, ওই আসামিরা যে পায়েলকে হত্যা করেছে আমরা আদালতে তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। আমরা উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার আদালত ওই ৩ আসামির মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকর করার আদেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement
পাবনায় পানিতে ডুবে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আড়াই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার চট্টগ্রামে আইনজীবী কুপিয়ে হত্যা করল চিন্ময়ের সমর্থকরা তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চট্টগ্রামে ইসকন সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ বিপুল পরিমাণে বিদেশী মুদ্রাসহ শাহ আমানতে যাত্রী আটক রাখাইনে গণহত্যা ও চলমান সহিংসতার বিচারের দাবি রোহিঙ্গাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের সমন্বিত ফলাফল প্রকাশ রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির কুলাউড়ায় শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

সকল