২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
গোলটেবিলে বিচারপতি রউফ

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করা রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব

-

রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ। তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভ করা সহজ কিন্তু রক্ষা করা কঠিন। এই সরকারকে টিকিয়ে রাখা বা সফলভাবে গণতান্ত্রিকভাবে জনগণের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করা রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং কিছু প্রস্তাবনা বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নানের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন, মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস চেয়ারম্যান ড. মো: গোলাম রহমান ভূঁইয়া, জানিপপ চেয়ারম্যান ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
বিচারপতি আব্দুর রব বলেন, বিগত কয়েকটি নির্বাচন হলেও বারবার ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিয়েছে। নির্বাচনের বাজেট রাখে ঠিকই কিন্তু নির্বাচনে নিরপেক্ষতা নীতি অবলম্বন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ভোটার লিস্ট যত নতুন হবে ততো ভুল হবে। একটা রাজনৈতিক দলেরও গণতান্ত্রিক ভিত্তি নাই। রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে আনতে হবে। চাঁদা তোলা বন্ধ করতে হবে। ব্রিটেনের নির্বাচনে স্থানীয় কাউন্সিল চালায়। বাংলাদেশের মতো ডিসি পুলিশ লাগে না। বর্তমান প্রজন্ম করে ফেলবে আপনি তাদেরকে আটকাতে পারবেন না। আমাদের স্বভাব ঠিক করতে হবে। তরুণরা কাজ শুরু করে দিয়েছে। তিনি মহিলাদের পৃথক দল গঠন করার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে গেছেন। সেনাপ্রধানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে তা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গত ১৭ বছর রাজনৈতিক দলগুলো চেষ্টা করেছে স্বৈরাচার পতনের কিন্তু সফল হয়নি। আল্লাহর রহমতে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত আন্দোলনে গণহত্যাকারী সরকারের পতন হয়েছে। আল্লাহ আমাদের দজ্জালের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ধ্বংস করেছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। সংবিধান ধ্বংসে আরেক জন হলেন বিচারপতি খায়রুল হক। সংবিধান ধ্বংসের জন্য খায়রুল হকের বিচার করতে হবে। তার কারণে দেশে গুম খুন আয়নাঘর হয়েছে। ভোট দিতে পারেনি বাংলাদেশের মানুষ। দেশের স্বার্থে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা দেশ ধ্বংস করতে আবার তৎপর। স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো রয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।
অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, তিন ধরনের সরকার আমাদের ছিল। স্বৈরশাসক, গণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট সরকার। স্বৈরশাসকরা আন্দোলনের একপর্যায়ে বিদায় নেয়। ফ্যাসিস্ট সরকার অস্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতাচ্যুত হয়। গণতান্ত্রিক সরকারের বিদায় হয় জনগণের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। আওয়ামী লীগ সরকার যে ফ্যাসিস্ট রূপ ধারণ করেছিল তারও একটা প্রেক্ষাপট আছে। আদালতকে ব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যখন বাতিল করল তখন তারা বুঝতে পারলেন, আমরা যা করব তার জন্য জনগণকে আর জবাব দেয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। অর্থাৎ তারা নিজেরা ক্ষমতা মালিক বনে যান, জনগণ না। এটাই তাদের মধ্যে কাজ করেছে। যে কারণে তারা দেশে লুটপাট, অরাজকতা, গণতন্ত্রহীনতা, মানবাধিকারের লঙ্ঘন গত ১৭ বছর ধরে করেছেন। আমরা এখনো দেখতে পাচ্ছি, যারা মূলত এই দেশটাকে ধ্বংস করেছে তারা কিন্তু খুব কম সংখ্যক গ্রেফতার হয়েছে। এখনো দেখতে পাচ্ছি সর্বোচ্চ আদালতে বিচরণ করতে যাচ্ছে। এই দেশকে রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে পরিবহন ধর্মঘটে যাত্রীদের ভোগান্তি রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ১০ ঘণ্টা পর খুলনার সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিএনপির বৈঠক ঘূর্ণিঝড় ‘দানার’ প্রভাবে দেশে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে এবার জামায়াতে ইসলামীর রিভিউ আবেদন মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩ অস্ত্রকারবারি আটক অবসর ভেঙে টেস্টে ফেরার ইঙ্গিত ওয়ার্নারের মিরাজের ফিফটিতে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে কিছুক্ষণের মধ্যে বৈঠক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ৪ মামলা বাতিল

সকল