২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পলিথিন শপিং ব্যাগমুক্ত বাজারকে পুরস্কার দেয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

শপিংমল ও মার্কেটে পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান : পিআইডি -


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজধানীর পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগ মুক্ত বাজারকে পুরস্কার দেয়া হবে।
তিনি বলেন, পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর বিকল্প হিসেবে পাট ও চটসহ পরিবেশবান্ধব ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষার্থীরা এই কাজে উদ্বুদ্ধ ও সহায়তা করবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গতকাল রাজধানীর পরিবেশ অধিদফতরের সভাকক্ষে ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরো বলেন, পলিথিন পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আমরা চাই ব্যবসায়ীরা এ উদ্যোগে অংশীদার হোক।
পরিবেশ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) এবং পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেন এবং উৎস বন্ধসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
ন্যায়সঙ্গত জলবায়ু অর্থায়নের আহ্বান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কপ ২৯ সম্মেলনের আগে ন্যায়সঙ্গত জলবায়ু অর্থায়নের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি গতকাল রাজধানীর পরিবেশ অধিদফতরে অনুষ্ঠিত ‘রোড টু বাকু : কপ ২৯ - বাংলাদেশে সিএসওগুলোর জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত অবস্থান’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ আহ্বান জানান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন ও প্রশমন কৌশলগুলো ন্যায়সঙ্গত হতে হবে এবং সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিতে হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সঙ্কট মোকাবেলায় এক শ’ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি বাড়াতে হবে। উন্নত দেশগুলোর অর্থ সাহায্য কিছু আর্থিক সমস্যার সমাধান করলেও প্রকৃত জলবায়ুর ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার হবে না। পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশ বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানের আশাবাদ পুনঃব্যক্ত করেন। তিনি অভিযোজন পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং তরুণদের এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরা এবং উচ্চাভিলাষী প্রশমন উদ্যোগ নিয়ে কথা বলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
কপ ২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি।

সেমিনারে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, এনএসিওএমের নির্বাহী পরিচালক ড. এস এম মুনজুরুল হান্নান খান, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বক্তব্য রাখেন। এতে বিভিন্ন সিএসও, জলবায়ু কর্মী এবং নীতি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
সেমিনারের মূল লক্ষ্য ছিল কপ ২৯ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের একটি একক অবস্থান গঠন করা।
পরে কপ ২৯ সম্মেলনে জোরালো অ্যাডভোকেসির আহ্বান জানানো হয়, যাতে বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনায় বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর কণ্ঠস্বর শোনা যায়।

 


আরো সংবাদ



premium cement