২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিব মুফতি আবদুল মালেক

-


মুফতি আবদুল মালেককে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব নিযুক্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তাকে জাতীয় মসজিদের খতিব পদে নিয়োগের অনুমোদন দেয় সরকার। গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ১৯৬৯ সালের ২৯ আগস্ট কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার সারাশপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার বাবা শামসুল হক একজন আলেম ছিলেন। পরিবারে কুরআন ও প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর তিনি চাঁদপুরের খিড়িহারা কওমি মাদরাসায় মিশকাত জামাত পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি পাকিস্তানের করাচি বিননূরী টাউন জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়া থেকে তাকমিল (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন। তার পর সেখানেই শায়খ আবদুর রশিদ নোমানির তত্ত্বাবধানে তিন বছর হাদিসশাস্ত্রে তাখাসসুস (উচ্চতর গবেষণা) ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর দুই বছর দারুল উলুম করাচিতে বর্তমান বিশ্বের ইসলামিক স্কলার মুফতি তকি ওসমানীর তত্ত্বাবধানে ফিকাহশাস্ত্রে তাখাসসুস (উচ্চতর গবেষণা) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি সৌদি আরব গমন করে আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর তত্ত্বাবধানে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর হাদিসশাস্ত্রসহ অন্যান্য গবেষণামূলক কাজের গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৮ সালে তার রচিত আল মাদখাল ইলা উলুমিল হাদিসিশ শরিফ প্রকাশিত হয়, যা বিভিন্ন দেশে পাঠ্যবই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৯৯৬ সালে তিনিসহ আরো কয়েকজন আলেম ঢাকায় উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসচিব ও উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও তিনি জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া ঢাকার শায়খুল হাদিস এবং ঢাকার শান্তিনগরের আজরুন কারিম জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। কওমি মাদরাসার সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা কমিশন গঠিত হলে তিনি এর সদস্য মনোনীত হন। ২০১৯ সালে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদ দেখা উপকমিটির প্রধান মনোনীত হন। ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় মুফতি বোর্ড গঠিত হয়। তিনি ১৬ সদস্য বিশিষ্ট এই বোর্ডের সদস্য সচিব মনোনীত হন।

তিনি মক্কা, মদিনা, পাকিস্তান, ভারত ও তুরস্ক সফর করেছেন এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। তিনি ইতোমধ্যে বাংলা, আরবি, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় মোট ১৬টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এ ছাড়া তার তত্ত্বাবধানে মাসিক আল-কাউসার নামে নিয়মিত একটা গবেষণা পত্রিকা বের হয়।
তার উল্লেখযোগ্য বই হলো- উম্মাহর ঐক্য : পথ ও পন্থা, ঈমান সবার আগে, প্রচলিত ভুল, হাদিস ও সুন্নায় নামাজের পদ্ধতি, তারাবির রাকাত সংখ্যা ও ঈদের নামাজ, তাছাউফ ও তত্ত্ব বিশ্লেষণ, প্রচলিত জাল হাদিস, তালিবুল ইলমের পথ ও পাথেয়, আল-মাদখাল ইলা উলুমিল হাদিসিশ শরিফ (আরবি)।
বিভিন্ন সংগঠনের অভিনন্দন : জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সর্বজন শ্রদ্ধেয় মুফতি আবদুল মালেককে খতিব পদে নিয়োগ দেয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে উলামা পরিষদ গোপালগঞ্জ, ইসলামিক কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ। অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়েছে, বিশ্বনন্দিত এমন একজন ইসলামিক স্কলার ও নিভৃত চারি আল্লাহর ওলিকে জাতীয় মসজিদের খতিব নির্বাচিত করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মোবারকবাদ জানাচ্ছি।


আরো সংবাদ



premium cement
বিদেশে বসে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা এখনো ষড়যন্ত্র করছে : হাসনাত আবদুল্লাহ ‘আমার তাহাজ্জুদগুজার ছেলেকে কিভাবে গলাকেটে হত্যা করল ওরা’ রাজবাড়ীতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান পরে কোনো বিপ্লব হলে সেটা ভয়াবহ হবে : মুয়ীদ চৌধুরী আবার লড়াই করে গণতন্ত্র ফেরত আনব : টুকু মিয়ানমারের জান্তার সাথে সংলাপে প্রস্তুত বিদ্রোহীদের একাংশ চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচারের দাবি জামায়াতের কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশী আহত, পতাকা বৈঠক সখীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত ভৈরবে ২ সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

সকল