২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সঙ্গীতশিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই

-

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম আর নেই। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সঙ্গপরিচালক লীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তিনি প্রায় চার মাস ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
মৃত্যুর পর হাসপাতালে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে সুজেয় শ্যামের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার করা হয়। এ সময় পরিবারের মানুষজন ছাড়াও সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকেশ্বরী মন্দির তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমন্দিরে। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

তার স্বজনরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার হৃদ্থযন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়। এরপর থেকেই শরীরে সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করে, ডায়াবেটিসও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। এতে কিডনি জটিলতাও তৈরী হয়। এভাবে চিকিৎধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শেষ গান এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর প্রথম গান ‘বিজয় নিশান উড়ছে ওই’ এর সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেন তিনি। গানটির প্রধান কণ্ঠশিল্পী ছিলেন অজিত রায়।

সুজেয় শ্যাম ১৯৪৬ সালের ১৪ মার্চ তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের সিলেট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা অমরেন্দ্র চন্দ্র শাহ ছিলেন ‘ইন্দ্রেশর-টি’ নামের একটি চা বাগানের মালিক। তার শৈশব কেটেছে সিলেটের চা বাগানে। ১০ ভাইবোনের মধ্যে সুজেয় ছিলেন ষষ্ঠ। সঙ্গীতে অবদানের জন্যে তিনি ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং এর আগে ২০১৫ সালে শিল্পকলা পদক লাভ। সুজেয় শ্যামের সুর করা গানগুলোর মধ্যে ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি’, ‘রক্ত চাই রক্ত চাই’, ‘আহা ধন্য আমার জন্মভূমি’, ‘আয় রে চাষি মজুর কুলি’, ‘মুক্তির একই পথ সংগ্রাম’, ‘শোন রে তোরা শোন’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং এর আগে ২০১৫ সালে পান শিল্পকলা পদক।


আরো সংবাদ



premium cement