২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আওয়ামী শিক্ষক নেতাকে বশেমুরকৃবির প্রোভিসি নিয়োগের প্রতিবাদ

-

গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে (বশেমুরকৃবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষক নেতা প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হককে প্রোভিসি হিসেবে নিয়োগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি হল রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ ও উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) আব্দুল্লাহ মৃধা। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, পরিচালক গবেষণা প্রফেসর ড.মসিউল ইসলাম, প্রফেসর ড. জিয়াউদ্দিন কামাল, প্রফেসর ড. ফারহানা ইসলাম, প্রফেসর ড.শরিফ রায়হান, দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলাম খান, মো: নাজমুল আহসান, মো: রেজাউল কবির, মো: সফিউদ্দন প্রমুখ।

আওয়ামী শিক্ষক নেতা প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হককে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি হিসেবে নিয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠনে যখন শেখ হাসিনের ফ্যাসিবাদী শাসনের দোসরদের থেকে মুক্ত করা হচ্ছে। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামান কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের ফ্যাসিবাদ সমর্থকদের নতুন করে পদায়ন করা হচ্ছে। এতে বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে শহীদদের রক্তের সাথে অবিচার করা হচ্ছে। বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনে নতুন করে আওয়ামী মেরুকরণ করা হচ্ছে। আওয়ামী বলয়ের কাছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন পুনরায় জিম্মি হয়ে পড়ছে। এতে যেমন শিক্ষকসমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমনি ঝুঁকিতে পড়বে ছাত্রদের একাডেমিক ক্যরিয়ার। এই অবস্থা মেনে নেয়া হবে না। এই নিয়োগ বাতিলসহ বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগে আওয়ামী দোসরদের বাদ দিতে হবে। এই নিয়োগ বাতিল না হলে আমরা ভবিষ্যতে ছাত্র- শিক্ষক এক হয়ে আরো বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন গড়ে তুলব।

বক্তারা জানান, অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারের প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যখন বিবৃতি দেন ঠিক সেই সময়ে ওই বিবৃতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিচার প্রক্রিয়া চালু করার পক্ষে বাংলাদেশের তথাকথিত আওয়ামী দোসর ২০১ জন কৃষিবিদ যে বিবৃতি প্রদান করেন তার মধ্যে প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক অন্যতম। আওয়ামীপন্থী নেতা হিসেবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদ-পদবি বাগিয়ে নেন। তিনি বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসনামলে একদিনের জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব ছাড়া ছিলেন না। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ হিসেবে অদ্যাবধি বহাল আছেন।
একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘সিন্ডিকেট’ এর সদস্য হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন (২০১৮-২০১৯, ২০২২-২০২৩)। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়োগ কমিটির প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ভিসির নিয়োগ সংক্রান্ত অপকর্মে সহযোগিতা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement