১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট

মহাপরিচালক পদে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা নিয়োগের প্রতিবাদ

-


নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ সময় তারা দাবি বাস্তবায়নে আজ ও আগামীকাল দু’দিনের কর্মবিরতির কর্মসূচির ঘোষণা করেছে।
গতকাল দুপুরে কক্সবাজারের রামুতে অবস্থিত বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নতুন মহাপরিচালকের নিয়োগ ঠেকাতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এ সময় ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন মহাপরিচালকের মাধ্যমে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হলে এই ইনস্টিটিউটের প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।
প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী মো: জাকারিয়া জানান, গত ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে পদায়নের প্রস্তাব করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যা এই ধরনের গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ এবং গবেষণার গ্রহণযোগ্যতার পরিপন্থী।

জানা গেছে, দেশের সমুদ্র গবেষণার একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান কক্সবাজারের রামুতে অবস্থিত বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক পদে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করায় প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ নিয়োগ বাতিল চেয়ে বোরির ৫২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গত বুধবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমোডর মো: মিনারুল হককে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রেষণে নিয়োগ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি কর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মামুন শিবলীর সই করা প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগের কথা জানানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানী ও কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। প্রতিষ্ঠানটির ৫২ জন বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ নিয়োগের বিরোধিতা করে অবিলম্বে তা বাতিল করে এ পদে কোনো স্বনামধন্য বিজ্ঞানী, গবেষক, অ্যাকাডেমিশিয়ান অথবা অন্য কোনো যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগের দাবি জানান। একইসাথে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ও পেনশন সুবিধা দেয়ারও দাবি তুলেন তারা। প্রধান উপদেষ্টা বরারর পাঠানো স্মারকলিপিতে এ দাবি আদায় না হলে তারা কর্মবিরতির মতো কর্মসূচিতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবেদন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানে মহাপরিচালক হিসেবে আমরা কোনো সামরিক কর্মকর্তা নিয়োগ চাই না। কোনো স্বনামধন্য বিজ্ঞানী, গবেষক, অ্যাকাডেমিশিয়ান বা সিভিল প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তা বা যোগ্য অন্য যেকোনো ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদানে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো আপত্তি নেই।’

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, এই প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পর থেকে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। তা ছাড়া নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও অস্থায়ী/শিক্ষানবিশ কর্মকর্তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করা হয়নি। প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির পর থেকে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্লক পোস্টে কর্মরত আছেন। এই প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো পেনশন সুযোগ নেই। তা ছাড়া জব সিকিউরিটি নেই। এসব দাবি পূরণের মাধ্যমে একটি স্বাভাবিক ও সহমর্মিতার পরিবেশ তৈরি করে দেশের স্বার্থে কাজ করার সুযোগ তৈরি করার দাবি জানানো হয়। এ ব্যাপারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মোকাব্বির হোসেন বলেন, ‘বোরির ডিজি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই ।

 


আরো সংবাদ



premium cement