ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে জাবি শিক্ষার্থী আহত প্রতিবাদে বিক্ষোভ
- জাবি প্রতিনিধি
- ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০১
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হল গেটের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি এবং ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থীর আহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শুরু হয়ে নতুন প্রশাসনিক ভবনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয় মিছিলটি।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসসংলগ্ন গেটে নিয়মিত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের সাইকেল চুরি হয়, মোবাইল ছিনতাই হয় অথচ প্রশাসন দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। গতকাল ক্যাম্পাসের একজন শিক্ষার্থী ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছে। আমরা হুঁশিয়ারি করে দিতে চাই, ক্যাম্পাসসংলগ্ন গেটে আর কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলে এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ’গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মর্মাহত। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এমএইচ গেটে পুলিশ বক্স স্থাপনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
গতকাল শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কলমা এলাকা থেকে টিউশন শেষে হলে ফিরছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের (৫০তম) ব্যাচের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল। পরে সিঅ্যান্ডবি থেকে গাড়ি না থাকায় হেঁটেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল গেটের দিকে আসছিলেন তিনি। হলের গেটে পৌঁছার মাত্র কয়েক গজ দূরে ছিনতাইকারীরা তার পথরোধ করে দাঁড়ায়। তার সাথে থাকা টিউশনির ৯ হাজার টাকা এবং কিছুদিন আগে কেনা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাতে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়। ১৫ মিনিটের মতো সেখানে অপেক্ষা করে কাউকে না পেয়ে তিনি নিজেই রিকশাযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন।
ভুক্তভোগী রাসেল জানান, টিউশনির টাকা দিয়ে নিজের খরচ চালান তিনি। টিউশনির একসাথে পাওয়া দুই মাসের বেতন নিয়ে আসছিলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, ছিনতাইকারীরা ছিল অল্পবয়সী, সংখ্যায় ছিল তিনজন। তারা প্রথমে এসে গলায় শক্ত করে ছুরি ধরে। এতে তার শ্বাস একেবারে বন্ধ হয়ে আসছিল। ভয়ে তিনি সাথে সাথে সব দিয়ে দেন। তিনি যাতে আর কাউকে ডেকে আনতে না পারেন, সে জন্য ছিনতাইকারীরা যাওয়ার সময় তাকে ছুরিকাঘাত করে যায়।