ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মোনায়েম খানকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়নি
- ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০০
তদানিন্তন পূর্বপাকিস্তানের গভর্নর আবদুল মোনায়েম খানের ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন- গভর্নর আবদুল মোনায়েম খানের শাসন আমলে তদানীন্তন পূর্বপাকিস্তানের যে উন্নয়ন হয়েছিল তা আজ বিস্ময়কর। পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি পূর্বপাকিস্তানে ৪টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। আজীবন মুসলিম লীগের সাথে যুক্ত থেকে তিনি সততার সাথে রাজনীতি করেছেন। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরেও তাকে পালিয়ে যেতে হয়নি ও তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ কেউ করেনি।
আবদুল মোনায়েম খানের স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে গতকাল বাদ জোহর স্মৃতি সংসদের সভাপতি আকবর হোসেন পাঠানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার। বক্তব্য রাখেন মুসলিম লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ মোল্লা, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার জিয়া উদ্দিন, ফারুক আলম ও ছাত্রনেতা নুরুল আলম এবং কবি ফারুক আহম্মদের ছেলে ওয়াহেদুজ্জামান বাচ্চু।
সভাপতির বক্তব্যে মহসিন রশিদ বলেন- মোনায়েম খান একজন সৎ ইমানদার মানুষ ছিলেন। তিনি বলেন বর্তমান সরকার যদি ফেসিস্ট সরকারের দোসরদের প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বিতাড়িত না করতে পারেন তাহলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতেই থাকবে। পরাজিত শক্তিরা ষড়যন্ত্র চালিয়েই যাবে। আলোচনা শেষে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে মুনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।