জুলাই হত্যায় পলাতকদের ফিরিয়ে আনা হবে : অ্যাটর্নি জেনারেল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪০
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো: আসাদুজ্জামান জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত পলাতকরা ফিরে এসে বিচারের মুখোমুখি না হলে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের ফিরিয়ে আনতে আদালতের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। গতকাল রাজধানীর এফডিসিতে জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গত ১৫ বছরে দেশে কার্যত এক ব্যক্তির শাসন কায়েম হয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদও একক কর্তৃত্ববাদে পরিচালিত হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানসংক্রান্ত রায় পরিবর্তনের মাধ্যমে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক অপরাধ করেছেন। যে অপরাধের সুবিধা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, যা নিয়ে তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মিথ্যা বলতে বলতে মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। তার মিথ্যাচার গোয়েবলসকেও হার মানিয়েছে। গোয়েবলস বেঁচে থাকলে তিনি হয়তো শেখ হাসিনার ছাত্র হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট সিভিলিয়ান গোষ্ঠীর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে যে হত্যা ঘটানো হয়েছে তা মানবতাবিরোধী অপরাধ আইন ১৯৭৩ এর মাধ্যমে বিচার করা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিতে বিচার প্রক্রিয়ার ট্রায়াল টেলিভিশনে দেখানোর ব্যাপারে আইনগত দিক পর্যালোচনা করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই জুলাই হত্যায় সম্পৃক্তদের মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার শুরু হবে। যারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্রজনতার উপর গুলি চালিয়ে নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে ইতিহাসে বড় কালো দাগ হয়ে থাকবে। পাঠ্যপুস্তকে রচিত হবে জুলাই বিপ্লবের এসব শহীদদের শোক গাঁথা। রক্তপিপাসু জুলুমবাজ সরকারের অন্যায় অত্যাচারের নির্মম চিত্র। তারা চেয়েছিল রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে। কিন্তু মৃত্যুকে ভয় না পাওয়া ছাত্র জনতা যখন রাজধানী ঘিরে ফেলল এক কাপড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।