২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
দীপ্ত টিভি কর্মকর্তা তামিম খুন

মূল হোতা রবিউল-মামুন ধরাছোঁয়ার বাইরে

-

দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার পরিবার। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজন গ্রেফতার হলেও মূল হোতা প্লিজেন্ট প্রপার্টিজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএনপি নেতা শেখ রবিউল আলম ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) সহকারী পরিচালক মো: মামুন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত পরিবারের অন্য সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
মানববন্ধনে আহাজারি করে খোরশিদা বেগম বলেন, ‘আমার বুকটা জ্বইলা যাইতেছে। আমার বাচ্চাটারে কেমন কইরা মারল। একটা মানুষরে মানুষ এমনে কইরা মারে? রবিউল, মামুনের কাছে একটা প্রশ্ন আমার বাচ্চাটাকে মাইরা ওদের কী লাভ হইছে? আমার বুকটাকে খালি কইরা দিছে। আমরা কোনো দিন অন্যায়ভাবে কিছু করি নাই। আমরা শতভাগ ঠিক আছি। আমার বাচ্চাটারে যারা ষড়যন্ত্র করে হত্যা করছে আল্লাহ তুমি তাদের বিচার কর। আমি ড. ইউনূসসহ সব উপদেষ্টার কাছে আমার বাচ্চার হত্যার বিচার চাই।’

মানববন্ধনে তামিমের মা আরো বলেন, আমার ছেলের হত্যার সাথে জড়িত মূল আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে মূল আসামিদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। একজন মা হিসেবে এই দেশে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাওয়ার এটুকু তো অধিকার আমার আছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো: রুহুল কবির খান মূল হোতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে জানান, আসামিরা যত প্রভাবশালী হোক চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা কেউ বাদ যাবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের চার নম্বর রোডের ডি-ব্লকের বাড়ির আটতলার একটি ফ্ল্যাটে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমকে মারধর ও গলা টিপে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা রবিউল ও ডিএনসির সহকারী পরিচালক মামুনসহ ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে নিহতের পরিবার। পুলিশ এখন পর্যন্ত পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement