রংপুর বিভাগের উন্নয়নে ছাত্র-জনতার ৫ দাবি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৯
রংপুর বিভাগ থেকে একজন উপদেষ্টা নিয়োগ, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে রংপুর বিভাগের সাধারণ ছাত্র-জনতা।
গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সরকারের কাছে পেশকৃত পাঁচ দফা দাবি হলো : ১. তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। ২. রংপুর বিভাগের জন্য বাজেটের ন্যায্য বরাদ্দ দিতে হবে। ৩. বিশেষ আর্থিক বরাদ্দসহ গ্যাস সংযোগ প্রদান করতে হবে। ৪. বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্পায়নের দিকে নজর দিতে হবে। ৫. উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে।
মানববন্ধনে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব হিসেবে বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে উপদেষ্টাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু অবহেলিত রংপুর বিভাগ থেকে কোনো উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়া হয়নি। এখন অনেকে বলতে পারেন আমরা স্বার্থ খুঁজছি। আমি বলতে চাই, আমরা যদি স্বার্থের দিকে তাকাতাম তাহলে কোন বিভাগ থেকে কতজন উপদেষ্টা হয়েছে, সেটার লিস্ট দেখাতে আসতাম। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই অবহেলিত উত্তরবঙ্গের মাটি ও মানুষের যুগ যুগ ধরে চলে আসা সমস্যাকে ঘুচতে হলে উত্তরবঙ্গের মানুষ দরকার। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে বেড়ে উঠা ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া অনেক যোগ্য তরুণ-প্রবীণ রয়েছেন যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যথাযোগ্যভাবে দক্ষতার সাথে এগিয়ে নিতে সক্ষম। তাই আমাদের যৌক্তিক দাবি সাপেক্ষে উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আমাদের এই কর্মসূচি আরো প্রতিবাদী আকার ধারণ করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নরত রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থী মেফতাহুল মারুফ বলেন, শহীদ আবু সাঈদের রক্তের প্রতি ন্যায়বিচার করুন। যে জনপদে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহীদ সেই অঞ্চল থেকে একজন প্রতিনিধিও নেই উপদেষ্টা পরিষদে। এটি আরেক বৈষম্য। বিগত সময়ে সরকারের কোনো ব্যক্তিই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয় নাই। কাজেই রংপুর বিভাগ থেকে অন্তত একজন উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে হবে।
সরকারের যেসব প্রতিনিধি রংপুর বিভাগের উন্নয়নে কাজ করবেন তাদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, উত্তর জনপদের ভাগ্যোন্নয়নে নিজেদের প্রতিনিধি না হলে এ দাবিগুলোর বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা চাই আবু সাঈদের রক্তে ভেজা ভূমি থেকে অবশ্যই প্রতিনিধি সরকারে থাকতে হবে। সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সাবেক সচিব ড. মাহফুজুল হক, ছাত্রনেতা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, কবি ও সাহিত্যিক আব্দুল হাই শিকদার, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ড. আতিক মুজাহিদসহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেন।