২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

স্বর্ণালঙ্কার চুরির পর বিক্রির টাকা ব্যাংকে এফডিআর

কিশোরীসহ তিন গৃহকর্মী গ্রেফতার
-


রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন এলাকার একটি বাসা থেকে ৫৫ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় তিন গৃহকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় চুরি যাওয়া ৩১ ভরি ৪ আনা ৫ রতি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিরা হলো- স্থায়ী গৃহকর্মী তানজিনা আক্তার ফারিয়া (১৬) ও পার্টটাইম গৃহকর্মী কহিনূর বেগম এবং নাজমা আক্তার ওরফে লাইজু।
পুলিশ জানায়, গত ৪ অক্টোবর থেকে পার্টটাইম দুই গৃহকর্মীর নির্দেশনায় ওই বাসা থেকে দফায় দফায় স্বর্ণগুলো চুরি করে স্থায়ী গৃহকর্মী তানজিনা। কারওয়ান বাজারের তিনটি দোকানে এসব স্বর্ণের কিছু অংশ বিক্রি করে ব্যাংকে এফডিআর করেন আরেক গৃহকর্মী লাইজু।

গতকাল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো: সরওয়ার জাহান এসব তথ্য বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৬ আগস্ট ব্যাংক কর্মকর্তা রোখসানা মজুমদার ব্যাংকের লকারে গচ্ছিত স্বর্ণালঙ্কার এনে নিজের ইস্কাটন গার্ডেনের বাসার আলমারিতে রাখেন। পরে গত ৮ অক্টোবর সেগুলো দেখার জন্য আলমারির মধ্যে থাকা ব্যাগ খুলে দেখেন ব্যাগের মধ্যে থাকা ৫৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ডায়মন্ডের ৫টি আংটি নেই।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রমনা মডেল থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেন তিনি এবং এতে বাসার স্থায়ী গৃহকর্মী তানজিনা আক্তার ফারিয়া ও কহিনূর বেগম এবং অস্থায়ী গৃহকর্মী নাজমা আক্তার ওরফে লাইজুক আসামি করা হয়।

ডিসি বলেন, মামলার সূত্র ধরে ওই দিনই বিকেলে রাজধানীর কাকরাইল এলাকা থেকে চুরির সাথে জড়িত সন্দেহে গৃহকর্মী তানজিনা আক্তার ফারিয়া ও কহিনূর বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গত শুক্রবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হলে আদালতে তানজিনা আক্তার ফারিয়া স্বীকারোক্তি জবানবন্দী দেন।
জবানবন্দীতে তানজিনা আক্তার ফারিয়া উল্লেখ করেন, তিনিসহ গ্রেফতার কহিনূর বেগম ও নাজমা আক্তার লাইজু এ চুরির ঘটনার সাথে জড়িত ছিল। আদালত কহিনুর বেগমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সরওয়ার জাহান আরো বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তানজিনা আক্তার ফারিয়া দেখানোমতে গৃহকর্মীদের বাসা থেকে ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। পরে ১১০/এ, নিউ ইস্কাটন রোডের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার নাজমা আক্তার লাইজুকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১৬ ভরি ১৫ আনা ৪ রতি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। অবশিষ্ট স্বর্ণ উদ্ধারের জন্য গ্রেফতার লাইজুকে নিয়ে কারওয়ান বাজারের স্বর্ণ মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি বলেন, অভিযানকালে অনন্যা জুয়েলার্স থেকে গলিত অবস্থায় ২ ভরি ১২ আনা ৪ রতি এবং নুসরাত জুয়েলার্স থেকে গলিত অবস্থায় ৩ ভরি ৮ আনা ৩ রতি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
ডিসি মো: সরওয়ার জাহান বলেন, চুরির মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৩১ ভরি ৪ আনা ৫ রতি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া স্বর্ণলঙ্কার বিক্রির টাকায় ১০ লাখ টাকার একটি এফডিআরের তথ্য পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট চোরাই স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement