ফারুক নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দাবি করেছেন
- বাসস
- ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৭
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্ট বক্তব্য দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দ্রুত সংস্কার করুন, আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে নির্বাচন কবে হবে, এ বিষয়ে আপনার (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের) কাছ থেকে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য দরকার, যাতে ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের স্মৃতি আবার মানুষের মনে না জাগে’। তিনি গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘নির্বাচন ও নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
‘বাংলাদেশ সত্যের শক্তি’ এই সংলাপের আয়োজন করে এবং সংগঠনের আহ্বায়ক লেখক ও কলামিস্ট রাকেশ রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
ফারুক বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন বলেছিলেন, তারা শিগগিরই জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। কিন্তু তারা তা করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা যা করেছে, তা হচ্ছে হাসিনার সাথে যৌথ ষড়যন্ত্র। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘চোখের চিকিৎসার নামে শেখ হাসিনা লন্ডন ও আমেরিকায় মঈনুদ্দিনের অদৃশ্যমান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার চুক্তি করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিল।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের দোসররা এখন দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে ফারুক বলেন, তারা বিপুল অর্থের মালিক এবং অসংখ্য দুর্নীতির অংশীদার। তিনি বলেন, ‘কাঁচামরিচের দাম এখন ৭০০ টাকা (প্রতি কেজি) কেন? আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনার সিন্ডিকেট কি এখনও সক্রিয়? তারা যদি এখনও সক্রিয় থাকে, দয়া করে তাদের খুঁজে বের করে নাম প্রকাশ করার জন্য কাউকে নিয়োগ করুন।’ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা। দূর্গাপূজামণ্ডপে সাম্প্রতিক বিশৃঙ্খলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফারুক বলেন, ‘আমি মনে করি, যারা এই অবৈধ কাজগুলো করছে তাদের চিহ্নিত করা খুব সহজ।’
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গুণ্ডাদের মালিকানাধীন অবৈধ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে এবং পূজামণ্ডপে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে এটাই স্বাভাবিক। প্রশাসন থেকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের গোষ্ঠীগুলোকে সরানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের সব দোসরকে সচিবালয় ও সাংবিধানিক সংস্থা থেকে বিতাড়ন না করা পর্যন্ত শহীদ মুগ্ধ ও অন্যদের আত্মত্যাগের সঠিক মূল্যায়ন হবে না। তিনি গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা ও হিন্দুস্থানের (ভারত) মধ্যে স্বাক্ষরিত সব চুক্তি প্রকাশ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সহকারী সদস্যসচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সরফত আলী সপু, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য মাহমুদা হাবিবা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন, অপরাজেয় বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধার প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক মো: ইব্রাহিম হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন । সংলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ সত্যের শক্তির মো: মঞ্জুর হোসেন ঈসা।