২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
চট্টগ্রামে স্মরণসভায় বক্তারা

মরহুম বদিউল আলম চৌধুরী ভাষা সৈনিকদের মধ্যে অন্যতম

-


আমাদের ভাষা সৈনিক যারা ছিলেন তাদের মধ্যে বদিউল আলম চৌধুরী অন্যতম ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: শরীফ উদ্দিন। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে বৈষম্যমূলক যে ভাষাভাষী ছিল সেটা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চেয়েছি এবং ২০২৪ সালে এসেও আমরা সেটা প্রমাণ করতে পেরেছি বাংলাদেশ বৈষম্যের কোনো ঠাঁই নেই। নতুন বাংলাদেশ হবে বৈষম্যমুক্ত। যে বাংলাদেশ হবে, সেখানে সবধরনের সংস্কার হবে। তারমধ্যে একটি সংসস্কার হবে সাংস্কৃতিক সংস্কার। সেই সংস্কৃতির একটি অংশ হলো ভাষার। আর আমাদের ভাষা সৈনিক যারা ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম বদিউল আলম চৌধুরী।

তিনি গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে ভাষা সৈনিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক মরহুম বদিউল আলম চৌধুরীর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন পরিষদ আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক কাজী শাহাদাত হোসাইনের সভাপতিত্বে ও মোহাম্মদ নিযাম উদ্দিনের পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন, দৈনিক আজাদী সম্পাদক একুশে পদকপ্রাপ্ত এম এ মালেক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের সাধারণ সম্পাদক লায়ন নজমুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, আইনজীবী মফিজুল হক ভুঁইয়া, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান প্রমুখ।
এ সময় এডিসি শরীফ উদ্দিন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হলো, সমাজের সব ক্ষেত্রে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা। ভাষা আন্দোলন কেন হয়েছে? পুরো পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলত। ভাষাভাষীর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে যে ভাষাটি ছিল, সেই ভাষায় যারা কথা বলত তারা ছিল মাত্র ২৮ শতাংশ। আর পঞ্চম অবস্থায় ছিল উর্দু ভাষা। আর এ উর্দু পঞ্চম অবস্থানে থেকে তৎকালীন পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তান মিলে চেয়েছিল রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু।

সেটা বাংলাদেশের মানুষ তৎকালীন সময়ে মেনে নেয়নি। আর সেটা মেনে না নেয়ার ফলে যে আন্দোলনটা তৈরি হয়েছিল। সেই আন্দোলনের সফলতার কারণে আমরা আমাদের এ স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। আমাদের বাংলাদেশের যে অস্তিত্ব, আমাদের ইতিহাস সেটার ভিত্তি ভাষা আন্দোলনের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। কারণ ৪৭ এর পরে প্রথম কোনো মেসিব আন্দোলন হয়ে থাকলে সেটি একমাত্র ভাষা আন্দোলন ছিল।
প্রধান বক্তা এম এ মালেক বলেন, মরহুম বদিউল আলম চৌধুরী ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি তমুদ্দন মজলিসের প্রবীণ সদস্য ছিলেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে যুক্তফ্রন্টকে বিজয়ী করার পেছনে তার অবদান অতুলনীয়। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় ছিলেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামবাসী বদিউল আলম চৌধুরীকে আজীবন স্মরণ করবেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement