২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বয়স জালিয়াতি করা তাকবীর চমেক ব্লাড ব্যাংকে ১৩ বছর!

-

অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক তাকবীর হোসেন। প্রকৃত নাম তাকবীর হলেও নানা তদবিরে পারদর্শী এ কর্মচারীর নিয়োগ বাগিয়ে নিয়েছেন বয়স জালিয়াতি করে। চাকরির আবেদনে বয়সমীমার ১০ মাস ১৭ দিন বেশি থাকার পরও পেয়েছেন নিয়োগ। ২০১১ সালে চাকরি পাওয়া তাকবীর হোসেন তার বড়ভাই আওয়ামী লীগপন্থী বিএমএ নেতার দাপটে এত দিন স্বপদে বহাল তবিয়তে।
অভিযোগ উঠেছে, তাকবীর হোসেনের জন্ম তারিখ ১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর। চমেক হাসপাতালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্তানুযায়ী বয়সসীমা প্রার্থীর ৩০ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। অথচ ২০১১ সালের ১৮ আগস্ট চাকরির আবেদনের সময়সামীর মধ্যে তার বয়স ছিল ৩০ বছর ১০ মাস ১৭ দিন; অর্থাৎ চাকরির আবেদনের তারিখ পর্যন্ত তার বয়স ১০ মাস ১৭ দিন বেশি ছিল।
জানা গেছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ৯ নম্বর শর্ত অনুযায়ী সরকারি চাকরিরত প্রার্থীদের বয়স শিথিলযোগ্য উল্লেখ ছিল। সে সময় তাকবীর হোসেন বেসরকারি প্রজেক্ট ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের অধীন চমেক হাসপাতাল শাখায় কর্মরত ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, চাকরি নিতে হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয়ের কাগজপত্র জালিয়াতি করা হয়েছে। পরিচালকের লেটার প্যাড ব্যবহার করে তাকবীর হোসেনের বয়সসীমা শিথিল করার প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন তার আপন ভাই ডা: মোহাম্মদ আবুল হোসেন। বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে জমা দেয়া প্রত্যয়নপত্রে পরিচালকের কোনো স্বাক্ষরও ছিল না। স্মারক নম্বরটা তাকবীরের নিজের হাতের লেখা।
অভিযোগ রয়েছে ব্লাড ব্যাংক থেকে বেসরকারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে রক্ত পাচার করেন তাকবীর। এ ঘটনা দুনীতি দমন কমিশনে (দুদক) তাকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
এ দিকে ২০২২ সালে তাকবীর হোসেনকে নানা অভিযোগের ভিত্তিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছিল। সে সময় দীর্ঘ পাঁচ মাস ছাড়পত্র না নিয়ে অবৈধভাবে তিনি আগের কর্মস্থলে থেকে যান। অভিযোগ উঠেছে, তার অফিসের এক নারী সিনিয়র অফিসারের আশীর্বাদে তাকবীর হোসেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ওই কর্মকর্তাই তার বদলি আদেশ ঠেকান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা বড় ভাইয়ের ভয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেডিক্যালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম হোসেন বলেন, বয়স জালিয়াতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলে ছাড় নেই।


আরো সংবাদ



premium cement