গাজীপুরে তিন কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ
- গাজীপুর প্রতিনিধি
- ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
গাজীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং হাজিরা বোনাস ও বেতনভাতা বাড়ানোসহ বেশ কিছু দাবিতে বিক্ষোভ করেছে তিন কারখানার শ্রমিকরা। এ সময় যমুনা গ্রুপের একটি কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় কয়েকটি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। গতকাল কোনাবাড়ি ও কালিয়াকৈর থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানায়, বকেয়া বেতন এবং বেতন, টিফিনের টাকা বৃদ্ধির দাবিতে মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার যমুনা গ্রুপের যমুনা ফ্যান কারখানার শ্রমিকরা গতকাল বিক্ষোভ করেছে। এ সময় শ্রমিকরা কোনাবাড়ি-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে।
জিএমপির কোনাবাড়ি থানার ওসি মো: নজরুল ইসলাম এবং স্থানীয়রা জানান, যমুনা ফ্যান কারখানার শ্রমিকদের গত সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বকেয়া ছিল। গতকাল সকালে তারা কারখানায় গিয়ে ওই বেতন পরিশোধ এবং বেতন বৃদ্ধি, টিফিনের টাকা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা কারখানার পাশের জরুন এলাকায় কোনাবাড়ি-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে কোনাবাড়ি থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করে এবং বিষয়টি সমাধানে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে। ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নিলে তারা ১০টার দিকে সড়ক থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ দিকে কালিয়াকৈরের তেলিচালা এলাকার পূর্বাণী গ্রুপের করিম টেক্সটাইলের শ্রমিকরা হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল, বার্ষিক বেতন বাড়ানোসহ প্রায় ২৬-২৭টি দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় তাদের সাথে একই প্রতিষ্ঠানের পূর্বানী ফেব্রিক্স লি., পূর্বানী ইয়ার্ন ডায়িং লি. কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে যোগ দেয়। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে মালিক পক্ষের সাথে শ্রমিকদের দাবির বিষয়গুলো আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেন।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, পূর্বানী গ্রুপের শ্রমিকরা গত দু’দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন। গতকাল সকালে তারা ফের বিক্ষোভ শুরু করলে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করে। শ্রমিক অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পাশর্^বর্তী লগোজ এ্যাপারেলস লি., এটিএস এ্যাপারেলস লি., বে-ফুটওয়্যার লি. মিয়াগো বাংলাদেশ লি. এদিন ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।