০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ৫ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

লেবানন থেকে বাংলাদেশীদের ফেরাতে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে

-

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে ইসরাইলি হামলার ঘটনা বাড়তে থাকায় দেশটিতে থাকা বাংলাদেশীদের মধ্যে বিরাজ করছে অজানা আতঙ্ক। তারা জীবনরক্ষায় দিগি¦দিক ছুটছেন। যদিও দেশটিতে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, তারা চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিয়মিতভাবে প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। সর্বশেষ রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইল দফায় দফায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীদের কিভাবে দ্রুত নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মো: জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ওই বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: রুহুল আমিন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো: হামিদুর রহমান এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: জাহিদুল ইসলাম ভূঞা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। একই সময়ে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হন যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন, তুরস্ক ও ওমানের রাষ্ট্রদূতরা। আরো যোগ দিয়েছিলেন সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল।
সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশীদের ফেরানোর সম্ভাব্য যত পথ আছে, সেগুলো খুঁজে বের করার তাগাদা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে বিশেষ ভূমিকা পালন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্য দু’জন রাষ্ট্রদূতের কাছেও বৈঠকে প্রবাসীদের ফেরানোর জন্য মতামত চাওয়া হয়। এ সময় লেবানন থেকে বাংলাদেশীদের আনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কোন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে সেই বিষয়েও সংস্থার এমডির কাছে তার বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়।

বৈঠকে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, বৈরুত এয়ারপোর্ট থেকে বিশেষ ফ্লাইটে সরাসরি প্রবাসীদের ঢাকায় ফেরানো যায় কি-না তা নিয়ে ভাবার জন্য। তবে এ ব্যাপারে বিমানের এমডি তার কথায় সায় দেননি। জানা গেছে, লেবানন থেকে বাংলাদেশীদের ফেরানো নিয়ে তারা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত সোমবার লেবাননে থাকা বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যুদ্ধের কারণে যেসব প্রবাসী কর্মস্থল ও আবাসস্থল ত্যাগ করেছেন তাদেরকে লেবানন প্রবাসী বিভিন্ন বাংলাদেশী ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের সাথে সমন্বয় করে তুলনামূলক নিরাপদ এবং অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কিছু প্রবাসী বাংলাদেশী লেবানিজ সরকার ঘোষিত আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, লেবাননে নারীকর্মীসহ লক্ষাধিক বাংলাদেশী শ্রমিক অবস্থান করতে পারেন বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। এদের মধ্যে যুদ্ধে কেউ হতাহত হয়েছেন কি-না তা এখন পর্যন্ত কোনো সূত্র থেকেই জানা যায়নি। তবে যারা সেখানে রয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ভিসা জটিলতায় অবৈধভাবে অবস্থান করছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল