চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানকে সবুজায়নের মাধ্যমে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি করেছেন চট্টগ্রাম নগরীর বিশিষ্টজন, নগর পরিকল্পনাবিদ ও পরিবেশ রক্ষায় আন্দোলনকারী কর্মীরা। বিপ্লব উদ্যান নিয়ে গতকাল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। সিটি করপোরেশন কনফারেন্স রুমে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
চসিক নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় মতামত ব্যক্ত করেন স্থপতি জেরিনা হোসেন, প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া, প্রফেসর ডা: ইমরান বিন ইউনুস, স্থপতি আশিক ইমরান, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি সালাহউদ্দিন মো: রেজা, আসমা আকতার, হাসান মারুফ রুমি, শফিক আনোয়ার, হুমায়ন কবির, সাংবাদিক নেতা শাহনেওয়াজ প্রমুখ। সভার শুরুতে বিপ্লব উদ্যানের আগের ও বর্তমান অবস্থান নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চসিকের স্থপতি আবদুল্লাহ-আল-ওমর। প্রফেসর ডা: ইমরান বিন ইউনুস বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় ৮০ লাখ মানুষের বসবাস। এই নগরীকে সবার বাসোপযোগী করতে হবে। তাই বিপ্লব উদ্যান নিয়ে সবাইকে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ সময় তিনি উড়াল সড়কের ডিভাইডারে পার্কিং স্পেস করার পরামর্শ দেন।
প্রকৌশলী সুভাষ বড়–য়া বলেন, চট্টগ্রামে কোনো প্ল্যানিং ইনস্টিটিউশন নাই বলে নগরীতে জঞ্জাল সৃষ্টি হয়েছে। তিনি চসিককে উড়াল সড়কে অপরিকল্পিত র্যাম্প স্থাপন না করতে সিডিএকে চিঠি দিতে বলেন।
সভায় স্থপতি জেরিনা হোসেন বিপ্লব উদ্যানের সবুজায়নের পাশাপাশি ফুটপাতকে জনপরিসরে হাঁটার উপযোগী করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন আইন অনুসারে চসিকের উন্মুক্ত স্থান রক্ষায় দায়িত্ব নেয়ার কথা থাকলেও বিপ্লব উদ্যানের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ উদ্যানের বাণিজ্যিকীকরণ হয়ে গেছে। নাগরিকদের স্বার্থে বিপ্লব উদ্যানকে আবারো নাগরিকদের উদ্যান হিসেবে ফিরিয়ে আনতে হবে। স্থপতি আশিক ইমরান বলেন, বিপ্লব উদ্যানে ডিজাইনের বাইরে প্রচুর স্থাপনা ও দোকান হয়েছে। আমরা স্থপতিদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সংগঠনের সদস্যদের বিপ্লব উদ্যানের ডিজাইনের বাইরে কোনো প্ল্যান না করার জন্য বলেছি। অবিলম্বে বিপ্লব উদ্যান থেকে অননুমোদিত দোকান স্থাপনা সরিয়ে গাছপালা লাগিয়ে সবুজায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।