২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঢাবি শিক্ষক ড. মিজানুরের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের

-

যৌন হয়রানি, নৈতিক পদস্খলন, নিয়োগবাণিজ্য এবং ছাত্র আন্দোলনে তীব্র বিরোধিতা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষক ড. মিজানুর রহমানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে একই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সকালে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, অভিযুক্ত এই শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের (ভিসি) নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন চলাকালীন দফা এক দাবি এক, মিজানুরের পদত্যাগ, জেগেছে রে জেগেছে ছাত্রসমাজ জেগেছে; লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে বলে স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর বিগত কয়েক বছর ধরেই যৌন হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহার, রাজনৈতিক দলাদলি, শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতিসহ ছাত্রআন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। এর আগে তিনি লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের (ওখঊঞ) প্রধান হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নিজ বিভাগসহ লেদার ইনস্টিটিউটে নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম অনিয়ম করেছেন। সম্প্রতি অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি, হয়রানি, শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগে চরম অনিয়ম ছাপিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। নারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষক নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা, ভিডিও কলে যৌনাঙ্গের ভিডিও প্রদর্শন, নিজ কক্ষে একান্তে ডাকার অভ্যাস রয়েছে তার। পূর্বে ক্ষমতার দাপট থাকার কারণে কেউ মুখ খুলতেন না। কিন্তু সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই শিক্ষকের যথপোযুক্ত শাস্তি চান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, শিক্ষক জাতি গঠনের কারিগর। একটি সুশিক্ষিত জাতি গঠনে তাদের ভূমিকা অপরিহার্য। কিন্তু অধ্যাপক মিজানুরের মত শিক্ষকেরা শিক্ষক নামটাকে কলঙ্কিত করছে। যৌন হয়রানি, রাজনৈতিক প্রভাব প্রদর্শন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ধরনের শিক্ষকের কাছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নয়। ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগে নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষককে আমরা দেখতে চাই না।


আরো সংবাদ



premium cement