তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে অববাহিকার ১২ উপজেলায় মানববন্ধন
- রংপুর ব্যুরো
- ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
তিস্তা অববাহিকার দুই কোটি মানুষের লাইফ লাইন বাঁচাতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। একই দাবিতে ইউনোদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপিও দিয়েছে তারা।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় গংগাচড়ার মহিপুর তিস্তা সেতু পয়েন্টে মানববন্ধনের আয়োজন করে তিস্তা অববাহিকা উন্নয়ন পরিষদ। এ সময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক হানিফ খান সজীব, লক্ষ্মীটারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী, সমন্বয়ক আবু হাসেম, মনিরুজ্জামান মনির, তাসিন, জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ, গণ অধিকার পরিষদের জেলা ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শেরে খোদা আসাদুল্লাহ, গঙ্গাচরা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিক জামান, লক্ষ্মীটারি ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু আহমেদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিগত সরকার ভারত ও চীনের জুজু ধরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করেই ভোটের মাঠে সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু তিস্তা খনন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় হুমকির মুখে এই অঞ্চলের জীবন ও জীবিকা। তারা বলেন, যেহেতু মহা প্রকল্পের সমীক্ষা শেষ হয়েছে। চীন তাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আগে থেকেই। অবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করতে হবে।
একই দাবিতে তিস্তা অববাহিকার বারো উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। স্মারকলিপি দেয়ার আগে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি।
সংগঠনটির উদ্যোগে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রামের উলিপুরে পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী, রাজারহাটে বখতিয়ার হোসেন শিশির প্রমুখ।
লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, কালীগঞ্জে ড. মনোয়ারুল ইসলাম, আদিততমারীতে দেলোয়ার হোসেন ইঞ্জিনিয়ার, সদরে অ্যাডভোকেট চিত্তরঞ্জন, নীলফামারীর ডিমলায় কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম মোস্তফা, জলঢাকায় গোলাম পাশা এলিচ, গংগাচড়ায় স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য আব্দুর নূর দুলাল, কাউনিয়ায় কেন্দ্রীয় নেতা আশিকুর রহমান, পীরগাছায় বাবুল আকতার, শহিদুল ইসলাম সাজু, রফিকুল ইসলাম ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মুন্সি সাজু প্রমুখ।
পরিষদের স্মারকলিপিতে বলা হয়, তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সাথে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন, তিস্তা নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ করতে হবে।