ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক খানাখন্দে ভরা
- কামাল উদ্দিন সুমন ও নিয়াজ মো: মাসুম নারায়ণগঞ্জ
- ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পঞ্চবটী থেকে চাষাড়া যাওয়া এবং শিল্পনগরী বিসিকের প্রবেশ মুখের সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মারাত্মক দুর্ঘটনায় ঝুঁকি নিয়েই সড়কটিতে চলছে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী হাজার হাজার গাড়ি।
যাত্রীবাহী, পণ্যবাহী, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ মালিকানাধীন ব্যক্তিগত যানবাহন। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তা ছাড়া ঘণ্টার ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকতে হয় এ রাস্তায় চলাচলকারী সর্বপ্রকার যানবাহনকে। ১৫ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে ব্যয় হয় তিন ঘণ্টা।
দুর্ঘটনা শিকার হতে পারে জেনেও এ রাস্তায় চলাচলকারী সর্ব শ্রেণীর পেশাজীবী মানুষ ও স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ রাস্তা দিয়ে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রবেশ ও বিসিক শিল্পনগরীর প্রবেশ মুখের অতিগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের প্রায় ১ কিলোমিটার অংশের পিচ কার্পেটিং উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় বহু সংখ্যক খানাখন্দের। দেখলে মনে হয় এ যেন সড়ক নয়, মরণ ফাঁদ।
একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের এসব খানাখন্দ পানিতে ভরে গিয়ে বিঘ্ন ঘটে যান চলাচলে। এভাবে বিপদের আশঙ্কা নিয়েই যান চলাচল করছে এই সড়কে। খানাখন্দে পড়ে প্রতিনিয়ত সড়কে উল্টে সিএনজি বেবি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। দুর্ঘটনাকবলিত হচ্ছে বড় বড় পণ্যবাহী যান গর্তে পড়ে আটকে যাচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গাড়ির নিচের অংশ ভেঙে রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে থাকে। ফলে দীর্ঘ জানযটের সৃষ্টি হয়। বিগত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে সড়কটির এ অবস্থা হলেও সংশ্লিষ্ট মহলের নেই কোনো মাথাব্যথা।
স্থানীয়দের সাথে আলাপ করা হলে তারা জানায়, বৃষ্টি হলে সড়কটির গর্তগুলো পানিতে ভরে গিয়ে যানবাহনের জন্য গোলকধাঁধা সৃষ্টি করে। ফলে ছোট যানবাহনগুলো এসব গর্তে পড়ে উল্টে যায়। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পঞ্চবটী বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে মাসদাইর পর্যন্ত অংশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ওই অংশের গর্তগুলো এতটাই বড় যে সেগুলো বড় বড় যানবাহনের জন্যও ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গর্তগুলোর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বাস, ট্রাক, ট্রেইলারগুলোকে বিপজ্জনকভাবে হেলেদুলে যেতে দেখা যায়।
ব্যবসায়ী লিটন জানান, তিনি তার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করে থাকেন। কিন্তু গত দু-তিন দিন চলাচলে তার গাড়ির অধিকাংশ যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা সেরে তুলতে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে।
কলেজছাত্রী মহুয়া জানান, জ্যাম এখানে নিত্যদিনের সঙ্গী। গত দুই দিন বিকেল ৪টার দিকে জামতলা থেকে কোচিং শেষে তার পঞ্চবটীস্থ বাসায় ফিরতে সময় লেগেছে পাক্কা আড়াই ঘণ্টা। অথচ জামতলা থেকে বাসায় ফিরতে তার সময় লাগার কথা সর্বোচ্চ ১৫-২০ মিনিট।
গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক নিয়ে গত কয়েক দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সড়কটির ছবি দিয়ে অনেকই নিজ নিজ ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে নিজ নিজ আইডিতে পোস্ট করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কটি সংস্কারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।