দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে মুক্ত বিনিয়োগ নীতি ঘোষণার দাবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মো: খসরুজ্জামান দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অবিলম্বে ‘মুক্ত বিনিয়োগ নীতি’ ঘোষণা করার জন্য আইনজীবীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মুক্ত বিনিয়োগ নীতি’ ঘোষণা করা ছাড়া বর্তমান অর্থনীতিকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার অন্যকোনো বিকল্প নেই।
এতে বিদেশে পাচারকৃত এবং দেশে লুকায়িত অর্থ উৎপাদনখাতে বিনিয়োগে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। গতকাল বুধবার সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান। বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতি হচ্ছে দেশের সমগ্র বার অ্যাসোসিয়েশনসমূহের নির্দলীয় ফেডারেশন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের অর্থবাজার হতে লক্ষ কোটি টাকা উধাও এবং অনুৎপাদন খাতে বিনিয়োগ হওয়ার কারণে দেশ আজ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এবং দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিদেশী ঋণের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করে করদাতাদের ওপর চাপ না দিয়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করার পথ বের করতে হবে। এ লক্ষ্যে দেশের বিত্তশালী ব্যক্তি এবং কর দাতাদেরকে শিল্প, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ স্বাস্থ্য ও গৃহায়ন সম্পর্কিত সব ধরনের ব্যবসাসহ আমদানি ও রফতানিখাতে চলতি অর্থ বছরের জন্য বিনিয়োগ তথা ব্যবসায়িক নতুন মূলধনের ওপর কর মওকুফ করতে হবে। বাংলাদেশে বিদেশেী বিনিয়োগ যেমন বিনা বাধায় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বিনা প্রশ্নে বিনিয়োগকৃত মূলধন মেনে নেয়, একই সুযোগ চলতি বছরের জন্য এ দেশের ব্যবসায়িদেরকে প্রদান করলে বিদেশে পাচারকৃত এবং এ দেশে লুকায়িত অর্থ ব্যবসার বিভিন্নখাতে বিনিয়োগ হবে। বিনিয়োগকৃত অর্থ কর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে বৈধ হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করার জন্য দেশের বিত্তশালী ব্যক্তিগণ দারুণভাবে উৎসাহী হবেন। নতুন বিনিয়োগের ফলে দেশের উৎপাদন বাড়বে, ডলারের মূল্য হ্রাস পাবে, আমদানি ও রফতানি বাড়বে এবং নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রমশ কমে আসবে এবং জনগণ হতাশামুক্ত হবে। ফলে সরকারের ওপর নাগরিকের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
তিনি আরো বলেন, কর আহরণ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বর্তমান কর সংগ্রহের পদ্ধতি ঢেলে সাজাতে হবে এবং দেশের প্রত্যেক উপজেলায় ‘কর অফিসার’ নিয়োগ করে সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বাড়াতে হবে।
তিনি অপর এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচানোর জন্য অবিলম্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করে আশু সংস্কার করতে হবে। রাষ্ট্রকে অশিক্ষিত করে রাখার দীর্ঘদিনের ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে সরকারের কাছে এ বিষয়ে তদন্ত দাবী করেন।