কন্যাশিশুর জন্য বৈষম্যহীন নিরাপদ দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে
- বাসস
- ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
কন্যাশিশুর জন্য বৈষম্যহীন ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে হলে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সেজন্য প্রয়োজন পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা। গতকাল রাজধানীর দোয়েল চত্বরের বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, কন্যাশিশুর জন্য বৈষম্যহীন নিরাপদ ও ধর্ষণ ও ইভটিজিংমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে প্রয়োজন সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন। যতক্ষণ পর্যন্ত এসব পরিবর্তন না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কন্যাশিশুর জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়া সম্ভবপর নয়।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক কেয়া খান, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার, সেফ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টার রিফাত বিন সাত্তার, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহসভাপতি শাহীন আক্তার ডলি।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুদের জন্য একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের অর্ধেকই কন্যাশিশু। তাই আমাদের ভবিষ্যতের নাগরিক এই কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, কন্যাশিশুর বিকাশের সব সুযোগ নিশ্চিত করতে এবং তাদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। আমরা যে সমাজে বাস করছি সেখানে শিশুদের জন্য নিরাপদ জায়গা তৈরি করতে হবে। কন্যাশিশুদের চোখে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার দেখতে হবে স্বপ্ন। সারা দেশে শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হলে বাল্যবিয়ে বন্ধ, শিশু নির্যাতন ও যৌন হয়রানি বন্ধ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়া হ্রাস ও মানসিক দক্ষতা বাড়াতে পারলেই শিশুরা দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতে পারবে।
শিশুদের অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিতে একটি স্বাভাবিক ও নিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠার নিশ্চয়তা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলায় র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা