২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্কমুক্ত বিশ্ব গড়তে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশও ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবসের সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর, স্বাস্থ্য অধিদফতর, বন অধিদফতর ও ইউএসএআইডি ওয়ান হেলথ অ্যাক্টিভিটির যৌথ উদ্বোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী। ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও সভ্যতা নির্মাণকারী হলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিনাশ মানুষের বেঁচে থাকার পরিবেশকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে। মানবিক ও প্রাণবিক বিষয়গুলো আমরা এক করে ফেলছি। প্রাণী রক্ষায় আমাদের আরো মানবিক হতে হবে, এ ক্ষেত্রে মানুষ আর প্রাণীর বিভাজন নয়। আসুন না, একটু মানবিক হই।’
উপদেষ্টা বলেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন দেয়ায় এতে আক্রান্তের হার আগের তুলনায় কমলেও অসচেতনতা, ভৌগোলিক অবস্থান, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য দেশে এ রোগের ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই জরুরি। একই সাথে পোষা ও বেওয়ারিশ কুকুর-বিড়ালকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে। সবার সম্মিলিত প্রয়াস জলাতঙ্ক নির্মূলে ইতিবাচক অবদান রাখবে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা: মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএসএআইডি ওয়ান হেলথ অ্যাক্টিভিটির এনিমেল হেলথ টিম লিড প্রফেসর পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা: শেখ ছাইদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক প্রশাসন ডা: মো: বয়জার রহমান প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা