বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদের স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, পেশাগতভাবে সাহসী ও সৎ থাকাই হবে আতাউস সামাদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো। গতকাল বৃহস্পতিবার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই আলোচনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আতাউস সামাদ স্মৃতি পুরস্কার পাওয়া সিনিয়র ফটো সাংবাদিক রফিকুর রহমান। সভায় বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশিষ্ট কবি সোহরাব হাসান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছড়াকার আবু সালেহ, মরহুম আতাউস সামাদের ভ্রাতুষ্পুত্র ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বাছির জামাল, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএফইউজের সহসভাপতি এ কে এম মহসিন, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব ডা: সাদেকুল ইসলাম স্বপন, দৈনিক আমার দেশের বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আতাউস সামাদ একজন সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিক ছিলেন। রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই তিনি সাংবাদিকতা করেছেন। কোনো কিছুই তিনি ভয় পেতেন না। পেশাগতভাবে সাহসী ও সৎ থাকাই হবে আতাউস সামাদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো।
বক্তারা বলেন, আজকে স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে আতাউস সামাদ বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। তার চিন্তচেতনা ছিল অসাধারণ আর তিনি নিজে ছিলেন অতি সাধারণ। আজকের বাংলাদেশে সাংবাদিকতার দীনতা প্রকটভাবে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। বক্তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা কি প্রকৃত স্বাধীনতা ভোগ করছে?
সচিত্র সন্ধানী দিয়ে ১৯৫৬ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন আতাউস সামাদ। এরপর দৈনিক আজাদ, পাকিস্তান অবজারভার, দ্য সান, বাসস হয়ে ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে যোগ দেন বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে। করেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আতাউস সামাদ। দীর্ঘ ২০ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন আতাউস সামাদ। ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক এবং ২০০৭-০৮ খ্রিষ্টাব্দে এনটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আতাউস সামাদ পাকিস্তানের দৈনিক মুসলিম, কুয়েতের দৈনিক আরব টাইমস, লন্ডনের সাউথ ম্যাগাজিন, ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর-সহ এ দেশের স্বনামখ্যাত বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লিখেছেন। তার লেখা একমাত্র বই ‘এ কালের বয়ান’ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে।
২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা