২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা ফেরাতে চাই

নয়া দিগন্তকে ঢাবি শিবির সেক্রেটারি
-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ সময় পর প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ। ঢাবি ক্যাম্পাসসহ সারা দেশে অনেকটা গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে এই সংগঠনটি। ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা, যদিও সাংগঠনিক পরিচয় প্রকাশ করেননি তারা। বরং সাধারণ শিক্ষার্থীদের পতাকা তলে এসেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে দেখা না গেলেও সব কৌতূহলকে পাশ কাটিয়ে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছেন সংগঠনটির ঢাবি শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ। তিনি সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের এবং কবি জসিম উদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ওই হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতির নামও এসএম ফরহাদ হোসেন হওয়ায় শিবিরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরহাদ ও তিনি একই ব্যক্তি বলে গুঞ্জন ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদও হয়। পরে শিবিরের ঢাবি শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদের ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট হয় যে, ছাত্রলীগের হল শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ হোসেন ভিন্ন এক শিক্ষার্থী।
এস এম ফরহাদ ক্যাম্পাসে একজন ভালো বিতার্কিক হিসেবে পরিচিত। জসীম উদদীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সমন্বয়কদের সাথে যোগাযোগ রেখে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। নয়া দিগন্তকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শিবির নেতা দীর্ঘ সংগ্রাম, গণ-অভ্যুত্থানসহ সার্বিক বিষয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নয়া দিগন্তের ঢাবি প্রতিনিধি হারুন ইসলাম।
নয়া দিগন্ত : গণ-অভ্যুত্থানের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারের অঙ্গীকার নিয়ে অধ্যাপক নিয়াজ আহম্মেদ খান উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। নতুন উপাচার্যের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কী ধরনের সংস্কার আপনি প্রত্যাশা করেন?
এস এম ফরহাদ : গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদ দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতিক্রম নয়। আমরা দেখেছি, তৎকালীন প্রশাসনের ছত্রছায়ায় হল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সেক্টরে কিভাবে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগই একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এই একক আধিপত্যবাদের অবসান চায়। আমরা চাই নিয়মনীতি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টর যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে; সেই সাথে কোনো নির্দিষ্ট দলমতের লোকজন যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে নিয়মমাফিক সিট বণ্টন নিশ্চিত, ধর্মীয় চর্চা, ব্যক্তিগত মতাদর্শ, পোশাক, ভাষা ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা, উপযুক্ত সংস্কারের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেন তার পুরনো ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা ফিরে পায়।
নয়া দিগন্ত : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির হঠাৎ প্রকাশ্যে আসার কারণ কী?
এস এম ফরহাদ : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফলে বাংলাদেশে নতুন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা দেখেছেন গত ১৫ বছরে জুলুমের প্রতিবাদ করার কোনো সুযোগ ছিল না। প্রতিবাদ করলেই জেল-জুলুম, গুম-খুন, ফাঁসি-ক্রসফায়ারসহ নানাবিধ হয়রানির মুখে পড়ত হতো। তা ছাড়া ফ্যাসিবাদ সমাজের মধ্যেও মিশে ছিল। সমাজের একটা অংশ আমাদেরকে টার্গেট করে ফ্যাসিবাদকে বৈধতা দিয়েছিল। ফলে টিকে থাকার অনিবার্য বাস্তবতার কারণেই আমরা এতদিন প্রকাশ্য রাজনীতি করতে পারিনি। ছাত্রশিবির মনে করে, বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র সংগঠন হিসেবে আমরাই সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নিপীড়নের শিকার হয়েছি। তবে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। আমরা ১৫ বছর ধরে ইনকিলাব মঞ্চের কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিলাম। আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে শোকরগুজার করি যে, তিনি আমাদের আজাদীর এই মহাসংগ্রামে একটু হলেও ভূমিকা রাখার সুযোগ দিয়েছেন।
নয়া দিগন্ত : সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটা অংশ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চায়, আপনারা কেন চান না ?
এস এম ফরহাদ : বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দু’টি দিকই আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এ জাতির প্রতিটি অর্জনে ছাত্রসমাজের গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা ছিল সেটি অস্বীকারের কোনো সুযোগ নেই। বর্তমান সময়ে ছাত্ররাজনীতি শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে আসে ছাত্রলীগের হল দখল, ক্যাম্পাস দখল, গণরুমের বেহাল দৃশ্য, গেস্টরুম নামক নির্যাতন সেল, বাধ্যতামূলক রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করানোর মতো বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা। শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ সেই ভীতিকর অভিজ্ঞতার আলোকে মনে করেন ছাত্ররাজনীতি বলতে ফের ছাত্রলীগের রাজনীতিরই প্রতিস্থাপিত হবে।
আমরা বিনয়ের সাথে বলতে চাই ছাত্ররাজনীতি মানেই ছাত্রলীগের নির্যাতনমূলক রাজনীতি নয়। ছাত্ররাজনীতির সংস্কারকৃত রূপ প্রতিষ্ঠা পেলে ছাত্রসমাজ তা আন্তরিকতার সাথেই গ্রহণ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস ।
নয়া দিগন্ত : বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির গঠনপ্রকৃতি নিয়ে আপনাদের প্রস্তাবনা কী?
এস এম ফরহাদ : এই সময়ে ছাত্র রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত সেসব বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি শিগগরিই উপস্থাপন করতে পারব।
নয়া দিগন্ত : ডাকসু নির্বাচন কত দিনের মধ্যে হওয়া উচিত বলে মনে করেন?
এস এম ফরহাদ : সবে মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় তার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্থিতিশীল হওয়ার জন্য কিছু সময় দেয়া যুক্তিসংগত। আমরা প্রত্যাশা রাখি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে কাজ শুরু করে যতদ্রুত সম্ভব ডাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
নয়া দিগন্ত : গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সমগ্র দেশের বিভিন্ন স্থানে মব জাস্টিস শুরু হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আমরা দেখলাম। এ বষয়ে ছাত্রশিবিরের মন্তব্য কী?
এস এম ফরহাদ : আমরা সব মব জাস্টিসের নিন্দা জানাই ও বিরোধিতা করি, মব জাস্টিস নামে মব কিলিং ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। আমরা আশা করি দেশের মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নেবে না, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকীকরণে সহায়তা করবে এবং মব জাস্টিসের মতো জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকবে।
নয়া দিগন্ত : গণ-অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড কে এটা নিয়ে সর্বমহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস মাহফুজ আব্দুল্লাহকে গণ-অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড বলেছেন। আবার কেউ বলছে শিবির এই গণ-অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
এস এম ফরহাদ : প্রথমত, মাহফুজ আব্দুল্লাহ মাস্টারমাইন্ড বিষয়ে তার বক্তব্য পরিষ্কার করেছেন। দ্বিতীয়ত, শিবির কখনোই দাবী করে না তারা এই গণ-অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড। যেসব ভাইয়েরা নিজের জীবন বিলিয়ে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, জীবন বাজি রেখে আমাদেরকে ফ্যাসিবাদের দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিয়েছেন তারা সবাই এই গণ-অভ্যুত্থানের মূল কারিগর। এখানে কোনো ব্যক্তি বা দলকে এককভাবে কৃতিত্ব দেয়া অনুচিত এবং এটি গণ-আকাক্সক্ষার স্পিরিটের সাথে বেমানান।
নয়া দিগন্ত : অনেকেই ছাত্রলীগের সাথে ছাত্রশিবিরের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আপনার অভিমত কী?
এস এম ফরহাদ : ছাত্রলীগের অপরাজনীতির সাথে শিবিরের সম্পৃক্ত থাকার প্রশ্নই আসে না। বিগত ১৬ বছর ছাত্রলীগের সবচেয়ে বর্বরোচিত হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এ রকম একটি মজলুম সংগঠনকে জড়িয়ে এ জাতীয় বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও বিভ্রান্তিমূলক। মূলত পরাজিত শক্তি ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ জাতীয় প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান করছি।
নয়া দিগন্ত : ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের ও তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন কি না?
এস এম ফরহাদ : ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ছাত্রছাত্রীদের ওপর ১৫ জুলাই যে হামলা চালিয়েছে সেটা বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির রক্তাক্ত ইতিহাস বিচারেও অনেক ভয়ঙ্কর। ওই হামলায় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল। তৎকালীন ফ্যাসিবাদের দোসর প্রশাসনকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, বিগত সময়ে ঢাবি ক্যাম্পাসে যারা ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তারা যেন অবশ্যই মামলা করেন। যাতে কোনো সন্ত্রাসী, নির্যাতনকারী কোনোভাবেই ছাড় না পায়। এ ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের আইনি সহায়তা প্রয়োজন হলে, আপনাদের সহযোগিতার জন্য ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সবসময়ই পাশে থাকবে। আমরা ছাত্রলীগের অপরাধীদের আইনানুগ পন্থায় বিচার চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করে। এ ক্ষেত্রে কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়, সেটি নিশ্চিত করাও জরুরি।
নয়া দিগন্ত : গত দেড় দশকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা ও দক্ষতার পরিবর্তে দলীয় আনুগত্যকে নিয়োগ ও পদোন্নতির মাপকাঠি বানানো হয়েছে। এই ধারা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বের করে একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন?
এস এম ফরহাদ : আমরা মনে করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদ আমলে নিয়োগকৃত শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকর্তার বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্তের পর তার যথাযথ পর্যালোচনা জাতির সামনে উন্মুক্ত হওয়া জরুরি।
অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার প্রয়োগ প্রয়োজন। নিয়োগ ও পদোন্নতি দলীয় আনুগত্যের দুষ্ট চক্র থেকে বের হতে না পারলে দেশের উচ্চশিক্ষাব্যবস্থা তার আবেদন হারাবে।
নয়া দিগন্ত : বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় যে বাজেট দেয়া হয় সেটা খুবই অপ্রতুল। আপনার অভিমত কী?
এস এম ফরহাদ : বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া উচিত গবেষণাভিত্তিক। জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। কিন্তু আসন্ন অর্থবছরের জন্য শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, তা ১২ শতাংশ পার হয়নি। এই বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৪৫ কোটি টাকার বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ২০ কোটি টাকা। অথচ গবেষণা ও উন্নয়নে গত বছর ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় অপর দিকে জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় ব্যয় করে ৪০ হাজার কোটির ওপরে। বাংলাদেশে ৫৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রাজস্ব বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দ মাত্র ২০০ কোটি টাকা। একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে পায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা মাত্র। গবেষণাবন্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য আরো বেশি বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।
নয়া দিগন্ত : আপনার মূলবান সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
এস এম ফরহাদ : আপনাকেও ধন্যবাদ।


আরো সংবাদ



premium cement