২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
চট্টগ্রামে সেমিনারে অভিমত

অসহায়দের আগে সেবা দিতে হবে

-

প্রতিদিন সরকারি অফিসে প্রভাবশালী, মধ্যমপর্যায়ের বা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষজন সেবা নিতে আসে। তাদের মধ্যে প্রভাবশালী বা মধ্যমপর্যায়ের লোকজন কাক্সিক্ষত সেবা যেকোনোভাবে আদায় করে নেয়। সেবা না পেলে সে ঊর্ধ্বতনের কাছে গিয়ে হলেও তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ সেবা না পেলে খুবই হতাশ হয়। না জানার কারণে সে ঊর্ধ্বতনের কাছে যেতে পারে না। প্রভাব দেখিয়েও তার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। এসব সাধারণ মানুষের জন্যই সরকারি অফিসে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বা সিটিজেন চার্টারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে কোন সেবা সে কত দিনের মধ্যে কিভাবে পাবে বা সেবাটির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিষয়ে সে জানতে পারছে। কাক্সিক্ষত সেবাটি নিতে পারছে। তাই সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য হবে সবার প্রথমে অসহায় সাধারণ মানুষটির সেবা আগে দেয়া, তার পাশে দাঁড়ানো।

গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় আয়োজিত সিটিজেন চার্টারবিষয়ক সেমিনারে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী শাব্বির ইকবাল, উপপুলিশ কমিশনার রইস উদ্দিন বক্তৃতা করেন। বিভিন্ন সরকারি দফতরের বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীগণ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, সেবাদানের ক্ষেত্রে সব সেবা প্রার্থীকে সমান সুযোগ দিতে হবে। প্রভাবশালী বা আত্মীয় এলে সাধারণ মানুষকে বসিয়ে রেখে তার কাজ আগে করে দেয়ার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। তারা বলেন, সেবা প্রার্থীরা সেবার জন্য অফিসে এসে প্রথমে সাধারণ কর্মচারীদের কাছে যায়। সেখানে অনেক ক্ষেত্রে প্রতারিত হয়। কাজেই অফিস প্রধান মাঝে মধ্যে ফ্রন্ট ডেস্কে কিছুক্ষণ বসে সেবা দানের নমুনা স্বচক্ষে দেখতে পারেন। আবার ছদ্মবেশে মাঝে মধ্যে নিজের অফিসেই সেবা নিতে এসে অফিসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করতে পারেন।


আরো সংবাদ



premium cement