২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

-

ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো: মাহমুদুল হাসান এ রিট দায়ের করেন।
আবেদনে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রফতানির অনুমতি বাতিলসহ বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা ও নদীর ইলিশ মাছ রফতানির বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। এ রিট আবেদনের ওপর শিগগিরই হাইকোর্টে শুনানি হবে বলে আবেদনকারী আইনজীবী জানিয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রফতানি কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে আবেদনে বিবাদি করা হয়েছে। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ভারতে ইলিশ রফতানির বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো: মাহমুদুল হাসান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রফতানির কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রক বরাবরে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদিদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। তা না হলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, ভারতের বিশাল ও বিস্তৃত সমুদ্র সীমা রয়েছে। ভারতের জলসীমায় ব্যাপকভাবে ইলিশ উৎপাদন হয়। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু ভারত মূলত বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ইলিশ আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রফতানি ও পাচার হথওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার নদীর ইলিশ পায় না। বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে যে সীমিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়, তা বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট নয়। এমতাবস্থায় যদি পদ্মার সব ইলিশ ভারতে চলে যায় তাহলে বাংলাদেশের জনগণ এই পদ্মার ইলিশ খেতে পারবে না। বাংলাদেশের রফতানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রফতানি যোগ্য কোনো মাছ নয়।


আরো সংবাদ



premium cement