২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
বায়তুল মোকাররমে সহিংস ঘটনা

মুফতি রুহুল আমীন নীতি আদর্শ বিচ্যুত হয়েছেন : ওলামা পরিষদ গোপালগঞ্জ

-


জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের আলেম ওলামার সংগঠন ওলামা পরিষদ গোপালগঞ্জ। বিবৃতিতে বলা হয়, গওহরডাঙ্গা মাদরাসা ও ছদর সাহেব রহ এর নীতি-আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন মুফতি রুহুল আমীন।
ওলামা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শরিফ আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সদ্য অপসারিত খতিব মুফতি রুহুল আমিন জুমার নামাজ পড়ানোর চেষ্টাকালে মসজিদের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দেশ বিদেশের আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসলমানদের তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং গোপালগঞ্জ জেলার ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে সমালোচনা ও মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ওলামা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সম্পাদক মুফতি শুয়াইব ইবরাহীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি মুফতি মাহমুদুল হাসান। বিবৃতিতে ওলামায়ে কেরাম বলেন, জুমার নামাজে ইমামতি করাকে কেন্দ্র করে মসজিদের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের যে ঘটনা ঘটেছে তা জঘন্য অপরাধ। এ ঘটনায় জাতীয় মসজিদের পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। গোপালগঞ্জ ওলামা পরিষদ এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছে। পাশাপাশি সদ্য অপসারিত খতিব মুফতি রুহুল আমীন সাহেবের একক কর্মকাণ্ডের সাথে গোপালগঞ্জের ওলামায়ে কেরামের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই এবং এর দায়ভার ওলামায়ে কেরাম বহন করবে না বলে স্পষ্ট ঘোষণা করছে। কেননা তিনি তার কতক দোসর ব্যতীত জেলার কোনো আলেমের সাথে এ বিষয়ে কোনো পরামর্শ করেননি। বরং দীর্ঘদিন ধরে তিনি ‘একলা চলো নীতি’ অবলম্বন করে জনগণ ও আলেম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

ওলামায়ে কেরাম আরো বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে এটা স্পষ্ট হয়েছে, মুফতি রুহুল আমীন ও তার দোসররা কল্পিত প্রোগ্রামের কথা বলে গওহরডাঙ্গা মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের বায়তুল মোকাররম মসজিদের উদ্দেশে নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করেছেন। তা ছাড়া গওহরডাঙ্গা মাদরাসা ও গওহরডাঙ্গা শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসার কোমলমতি ছাত্ররা মোজাহেদে আজম আল্লামা শামছুসল হক ফরিদপুরী ছদর সাহেব রহ ও জনগণের আমানত। একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় খতিবপদ রক্ষার্থে ঐতিহ্যবাহী গওহরডাঙ্গা মাদরাসা, মাদরসার ছাত্র ও শিক্ষাবোর্ডকে ব্যবহার করে তিনি তার খেয়ানত করেছেন। এহেন কর্মকাণ্ড কওমী মাদরাসা, গওহরডাঙ্গা ও মহান পূর্বসূরীদের নীতি-আদর্শ পরিপন্থি। তিনি কওমী মাদরাসা, গওহরডাঙ্গা ও ছদর সাহেব হুজুর রহ এর নীতি-আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে মুফতি রুহুল আমীন সাহেব ছদর সাহেব রহ এর রেখে যাওয়া আমানত গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মোহতামিম থাকতে পারেন কি না? পরামর্শ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আলী আহমাদ, মাওলানা বেলায়েত হুসাইন, মুফতি হাফিজুর রহমান, মুফতি মাসউদুর রহমান, মাওলানা নাসির আহমাদ, মাওলানা ফখরুল আলম, মাওলানা আবুল কালাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি

 

 


আরো সংবাদ



premium cement