খাদ্য মোড়কে সুস্পষ্টভাবে চিনি, লবণ, ট্রান্সের তথ্য প্রদর্শন জরুরি
- ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
খাদ্যদ্রব্যের মোড়কে চিনি, লবণ, ট্রান্সফ্যাট, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ইত্যাদির মাত্রা সুস্পষ্টভাবে লেখা এবং ট্রাফি মার্কিং দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। যাতে নিরীক্ষণে ত্রেতারাও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য চিহ্নিত করতে পারে। দেশে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস কমাতে হলে বিদ্যমান খাদ্যের মোড়কে এ ধরনের তথ্য সন্নিবেশিত করা জরুরি। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ভোক্তা অধিকার অধিদফতর, বিএসটিআই ও স্বাস্থ্য অধিদফতরকে যৌথভাব এ লক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি বলে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
গতকাল বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রের কনফারেন্স রুমে সেন্টার ফর ল’ অ্যান্ড পলিসি এফেয়ার্স-সিএলপিএ, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ল অর্গানাইজেশন, পাবলিক হেলথ ল’ইয়ার্স নেটওয়ার্ক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউর উদ্যোগে ‘অস্বাস্থ্যকর খাদ্যনিয়ন্ত্রণে খাদ্য মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কতা বাণীর প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
সভায় বলা হয়, অস্বাস্থ্যকর ও অপুষ্টিকর খাদ্য বর্তমানে সারা বিশ্বে অন্যতম স্বাস্থ্যসমস্যা। এসডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু ৩০% কমিয়ে আনতে হবে। অতিরিক্ত চিনি, লবণ, ট্রান্সফ্যাট, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারের অন্যতম প্রদান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য নিরুৎসাহিত করতে কর আরোপ, বিজ্ঞাপন বন্ধ, লেবেলিং এবং প্যাকেজিং ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সভায় বক্তারা বলেন, মোড়কজাত বিধিমালায় মোড়কে সতর্কতাবাণী সুস্পষ্টভাবে থাকতে হবে। চিনি, লবণ, ট্রান্সফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাদ্যদ্রব্যের মোড়কে সতর্কতাবাণী থাকতে হবে। খাদ্যদ্রব্যে কোনো পণ্যের মাত্রা কতটুকু হবে, কিভাবে হবে এবং কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে তা সুস্পষ্ট করা জরুরি। এ ছাড়া এসব বিধান বাস্তবায়নে নিয়মিত মনিটরিং, সমন্বয় ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ডা: এম মোস্তফা জামান, জনস্বাস্থ্য ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ, নির্বাহী সম্পাদক, বিএসএমএমইউ জার্নাল, মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস, কান্ট্রি লিড, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর, অধ্যাপক ডা: মো: আতিকুল হক, পিএইচডি, ডিন, প্রতিরোধমূলক ও সামাজিক চিকিৎসা অনুষদ, চেয়ারম্যান, জনস্বাস্থ্য ও তথ্যবিদ্যা বিভাগ, প্রধান চিকিৎসা পরিসংখ্যান, বিএসএমএমইউ, মো: ওয়াহিদুজজামান, সদস্য (আইন ও নীতি), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, প্রকৌশল মো: আবদুল্লাহ আল মামুন, উপ-পরিচালক, বিএসটিআই, ডা: মো: আখতারুজ্জামান, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ-স্বাস্থ্য অধিদফতর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং প্রতিনিধিরা। বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা