২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

জুরাইনে ১৪ শহীদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান জামায়াতের

রাজধানীর জুরাইনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মতবিনিময় ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠান : নয়া দিগন্ত -

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদেরকে রাষ্ট্রের বীর সন্তান উপাধি দিতে হবে।
রোববার রাজধানীর মুরাদপুর জুরাইন এলাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শ্যামপুর অঞ্চলের উদ্যোগে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় ও আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও জোন পরিচালক সৈয়দ জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় আরো বক্তৃতা করেন- ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুর রহিম জীবন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদ্দীন, খন্দকার ইমদাদুল হক, মো: মহিউদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান, আব্দুর রব ফারুকী, আতিক চৌধুরী, নওশাদ আলম ফারুক, মাওলানা নেছার উদ্দিন, কবিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা রাষ্ট্রের কাছে দাবি জানাই ফ্যাসিস্ট সরকার এবং তাদের দোসররা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি বিদেশে পাচার করেছে সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে শহীদ এবং আহতদের পরিবারের সদস্যদের সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার কাজে লাগাতে হবে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্ররাজনীতি বন্ধ নয়; বরং সংস্কার করতে হবে। ছাত্রদের কল্যাণে এবং দেশের কল্যাণে ছাত্ররাজনীতিকে ঢেলে সাজানোর এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ডকে আমরা প্রশ্রয় দেবো না। আমরা এটাকে অন্যায় এবং ফ্যাসিবাদের অংশই মনে করি। যারা সুকৌশলে এখনো ৫ আগস্টকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করছে, এখনই তাদের মূলোৎপাটন করতে হবে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহত ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে পুনর্বাসন করতে হবে। রক্তসাগর পাড়ি দিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে বিপ্লব সৃষ্টি হয়েছে, তার ফলে আমরা একটি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি, মতপ্রকাশের সুযোগ পেয়েছি। রাষ্ট্রীয় সব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট অপশক্তি ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ব্যর্থ করে দিতে চেয়েছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ব্যর্থ করার সব রকম অপচেষ্টা করেও এই জুলুমবাজ ফ্যাসিস্ট সরকার পার পায়নি। ৫ আগস্ট তারা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। নিপীড়ন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ কায়েম করেছিল। আজকের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে সেই চেপে বসা ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছে। আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সন্তানরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে পরিণত হয়েছে।
এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্যদের স্মৃতিচারণে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় ও কান্নার রোল পড়ে যায়।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement