২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
তদন্তে নেমেছে পুলিশ

ভাইকে হত্যা করাতে ১৪ মাসের ষড়যন্ত্র

-

ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আপন ভাইকে হত্যা করতে দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে ষড়যন্ত্র করেছে ছোট দুই ভাই। কিন্তু হত্যার দায়িত্ব পাওয়া যুবকের ফেসবুক চ্যাটিং থেকে ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তদন্ত করছে সিআইডি ও ডিবি সাইবার ক্রাইম ইউনিটও। তবুও শঙ্কা কাটছে না ভুক্তভোগীর।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার শিকার হয়েছেন রজধানীর রামপুরার আল কাদেরিয়া রেস্টুরেন্টের মালিক ফিরোজ আলম সুমন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ভাইদের চেষ্টা করেছি ব্যবসা শেখাতে। কিন্তু তারা ব্যবসা থেকে টাকা নিয়ে নিজেরাই সমৃদ্ধ হয়েছে। আমি তাদের বোঝাতে চেয়েছি কিন্তু তারা আমাকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দিতে চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সুমন। অপর মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
ফিরোজ আলম বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ভালো করায় পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার দুই ছোট ভাই ইফাতখারুল আমিন ও হাসনাইন আমিনকে দেখাশুনার দায়িত্বে আনেন। কিন্তু হঠাৎ দেখেন তার ব্যবসায় বড় ধরনের লস হচ্ছে। দৈনন্দিন হিসাবে গরমিলসহ মাসে অন্তত ৮-১০ লাখ টাকার আর্থিক লসের দিকে যাচ্ছে। এরপর তিনি গোপনে প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্যাশ কাউন্টারে আইপি ক্যামেরা বসান। সেখানে দেখেন দুই ভাইই গোপনে টাকা সরাচ্ছে। ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ফিরোজ দু’জনকেই হাতে নাতে ধরে ফেললে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। এরপর থেকে হাসনাইন আমিন ও ইফতেখার আমিন দু’জন এক হয়ে ফিরোজ আলম সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। কয়েক দফা চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। আসিফ নেওয়াজ নামের এক ফেসবুক উদ্যোক্তাকে টাকার বিনিময়ে ফিরোজ আলম সুমনের কয়েকটি ছবি দিয়ে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে নানা উসকানিমূলক কথা লিখে পোস্ট দেন। এ ঘটনার পর আলোড়ন সৃষ্টি হলে ছাত্ররা তার রেস্টুরেন্টে যায়। পরে এ ঘটনাটি মিথ্যা প্রমানিত হলে তারা পোস্টদাতা আসিফ নেওয়াজকে খুঁজে বের করে। পরে আসিফ নেওয়াজ জানায় ফিরোজ আলমের দুই ভাই তাকে টাকা দিয়ে এই পোস্টগুলো দিতে বলে। যাতে ছাত্র-জনতা উত্তেজিত হয়ে সুমনের ওপর হামলা করে তাকে মেরে ফেলে। তখন তারা দায়মুক্তি থাকবে।
বাড্ডা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সবগুলো অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে ইফতেখার ও হাসনাইন আমিনের মোবাইলে ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।


আরো সংবাদ



premium cement
রাজধানীতে সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু তোফাজ্জল হত্যা : ঢাবির ৬ শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার কুমিল্লা-১০ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে : ইয়াছিন আরাফাত উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতেছিল আ’লীগ : হামিদ আজাদ ভাইকে হত্যা করাতে ১৪ মাসের ষড়যন্ত্র ভান্ডালজুড়ি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে ঢাবি ও জাবিতে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক রনো ও তার পরিবার চট্টগ্রাম পানগাঁও নৌরুট জনপ্রিয় করার উদ্যোগ

সকল