২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ভান্ডালজুড়ি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে

পানি সরবরাহ ডিসেম্বরে
-

দুই দেশের যৌথ অর্থায়নে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। এখান থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বরেই সুপেয় পানি সরবরাহ করার প্রত্যাশা করছেন ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। ওই প্রকল্পের কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৮ ভাগের বেশি এগিয়েছে।
গতকাল যোগাযোগ করা হলে প্রকল্পের ডাইরেক্টর (পিডি) প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম জানান, পানি শোধনাগারের সার্বিক কাজ সম্পন্নসহ পরীক্ষামূলকভাবে শোধনাগারটি চালু করা হয়েছে এবং তা সুপেয় পানি উৎপাদনে প্রস্তুত রয়েছে।
প্রকল্প কাজের মধ্যে পটিয়া ও আনোয়ারায় অফিসসহ দু’টি পৃথক ওয়াটার রির্জাভার তৈরি হয়েছে। ২৩০ মিটার পানি সরবরাহ লাইন স্থাপনের মধ্যে শিকলবাহা খালের তলদেশসহ ৫০ মিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষপর্যায়ে রয়েছে। অন্য দিকে ৫০ মিটার ট্রান্সমিশন ও ৮০ কিলোমিটার ডিস্ট্রিবিউশন লাইন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার গ্রাহক পর্যায়ে সংযোগ দেয়ার জন্য আলাদাভাবে আহ্বানের মাধ্যমের সংযোগ কাজও শেষ দিকে রয়েছে। এ কারণে আগামী ডিসেম্বরেই গ্রাহকপর্যায়ে পানি সরবরাহের কাজ সমাপ্ত হওয়ার প্রত্যাশা করছেন ওই প্রকল্পের পিডি।
প্রকল্প কাজের সন্তোষজনক অগ্রগতির মধ্যদিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়া, বোয়ালখালী, কর্ণফুলী এবং আনোয়ারা উপজেলার শিল্প কারখানাসহ গ্রাহকপর্যায়ে পানি সরবরাহের প্রত্যাশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, যৌথ অর্থায়নে এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে (ভূমি অধিগ্রহণসহ) ১ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা।
কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার মধ্যবর্তী জ্যৈষ্ঠপুরার ভান্ডালজুড়ি পাহাড়ি এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীরে ও দুই পাহাড়ের পাদদেশে ৪১.২৬ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম ওয়াসার দৃষ্টিনন্দন ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার ও সরবরাহ প্রকল্প। একই সাথে ওই প্রকল্পের অধীনে পটিয়া বাইপাস এলাকায় ৫ একর জায়গায় ও আনোয়ারার দৌলতপুর মৌজায় ২.৯৪ একর জায়গায় দুটো জলাধার নির্মাণ করা হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করেছিল। চট্টগ্রাম নগরী, পশ্চিম পটিয়া, আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলায় অবস্থিত শিল্পাঞ্চলে পানি সঙ্কট দূরীকরণ এবং নগরীর পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা আধুনিকায়নে গৃহীত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ওয়াসার অন্যতম প্রকল্প ছিল বোয়ালখালীর ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার ও সরবরাহ প্রকল্প। আর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলসহ ১০ লাখ মানুষ সুপেয় পানির আওতায় আসবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় দাতা সংস্থা কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) চট্টগ্রামের পানি সরবরাহ বৃদ্ধি ও পয়নিষ্কাশনের জন্য একটি মাস্টার প্লান প্রণয়ন করেছিলেন। ওই প্ল্যান মোতাবেক চট্টগ্রাম ওয়াসা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়, তার মধ্যে বোয়ালখালী ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পটি ছিল অন্যতম। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম ওয়াসা দৈনিক ৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহের জন্য ওই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ প্রকল্পের জন্য কর্ণফুলী নদী থেকে পানি এনে প্রকল্পে শোধন করে ওই পানি আনোয়ারা বোয়ালখালী ও কর্ণফুলী উপজেলার শিল্পাঞ্চলে ৮০ ভাগ আবাসিকের জন্য ২০ ভাগ পানি সরবরাহ করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম ওয়াসা এবং কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সাথে এক হাজার ৩৬ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পরে পুনরায় সমীক্ষা শেষে প্রকল্প ব্যয় সংশোধন করে তা এক হাজার ৯৯৫ কোটি টাকায় বর্ধিত করা হয় এবং কোরিয়ান এক্সিম ব্যাকের সাথে নতুনভাবে চুক্তি সম্পাদনের পরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক ৮২৫ কোটি টাকা ও অবশিষ্ট টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে দেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
রাজধানীতে সংঘর্ষে ২ যুবক নিহত জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু তোফাজ্জল হত্যা : ঢাবির ৬ শিক্ষার্থীর দায় স্বীকার কুমিল্লা-১০ বিনির্মাণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে : ইয়াছিন আরাফাত উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতেছিল আ’লীগ : হামিদ আজাদ ভাইকে হত্যা করাতে ১৪ মাসের ষড়যন্ত্র ভান্ডালজুড়ি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে ঢাবি ও জাবিতে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক রনো ও তার পরিবার চট্টগ্রাম পানগাঁও নৌরুট জনপ্রিয় করার উদ্যোগ

সকল