কেন ভক্তকে কেন খুন করলেন দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার?
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ জুন ২০২৪, ১৮:০৫
ভারতের কন্নড় চলচ্চিত্রের সুপারস্টার দর্শন থোগুদিপাকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এক হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল, যে ঘটনা সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে!
রেণুকাসোয়ামি নামে ৩৩ বছর বয়সী এক তরুণকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ যে ১৭ জনকে আটক করেছে তাদের মধ্যে এই সুপারস্টারও রয়েছেন।
রেণুকাসোয়ামি মূলত অভিনেতা দর্শনের ভক্ত ছিলেন এবং একটি নালা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
ব্যাঙ্গালোর শহরের পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ বলেছেন, রেণুকাসোয়ামিকে ‘খুব নিষ্ঠুর এবং বর্বরভাবে হত্যা করা হয়েছিল।’ তিনি একে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
পুলিশ বলেছে, ৪৭ বছর বয়সী অভিনেতা দর্শন, রেণুকাসোয়ামির উপর প্রচণ্ড রেগে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারণ অভিনেত্রী পবিত্রা গৌড়াকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল বার্তা পাঠিয়েছিলেন একটি ওষুধ কোম্পানিতে কাজ করা রেণুকাসোয়ামি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে অভিনেত্রী পবিত্রা গৌড়াকে দর্শনের বান্ধবী (গার্লফ্রেন্ড) হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পবিত্রাও রয়েছেন।
পুলিশ সন্দেহভাজন দর্শন ও পবিত্রার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, আলামত বিনষ্ট করা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ গঠন করেছে।
বর্তমানে দর্শন কারাগারে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে দর্শনের আইনজীবী রঙ্গনাথ রেড্ডি বিবিসিকে বলেছেন, তার সাথে দেখা হওয়ার সময় অভিনেতা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দর্শনের আইনজীবীর মতে, ‘বর্তমানে এগুলো শুধুমাত্র অভিযোগ এবং দর্শনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। তাদের কাছে যা আছে সব পারিপার্শ্বিক প্রমাণ। পবিত্রা অভিনেতা দর্শনকে বিয়ে করেছেন এটাও মিথ্যা।’
কন্নড় চলচ্চিত্রের বড় ভরসা
দর্শনকে কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে ‘ব্যাঙ্কেবল’ বা ভরসাযোগ্য তারকা হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
চলচ্চিত্র শিল্পে ব্যাঙ্কেবল তারকা বলতে এমন কোনো অভিনেতা বা চলচ্চিত্র তারকাকে বোঝানো হয় যিনি কোনো সিনেমা করা মানেই সেটা নিশ্চিতভাবে বক্স অফিসে সফলতা পাবে।
দর্শন প্রায় ৬০টি ছবিতে কাজ করেছেন এবং এর মধ্যে বেশ কয়েকটি সিনেমা সুপারহিট হয়েছে।
চলচ্চিত্র সমালোচক এস শিব কুমারের মতে, ‘দর্শন হলেন কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় তারকা।’
“কর্ণাটকে তার একটি বিশাল ‘ফ্যান ফলোয়িং’ রয়েছে। এমনকী তার ছবিসহ পোস্টার অটোরিকশার পিছনে থাকে। তার ছবি মুক্তির আগে তার প্রতিকৃতিতে দুধ ঢালা হয়।”
কন্নড় চলচ্চিত্র নির্মাতা ইয়োগিশ দ্বারকিশ বলেছেন, দর্শন এমন একজন অভিনেতা যিনি পর্দায় আসা মাত্রই এক অসাধারণ আলোড়ন তুলতে পারতেন।
প্রায় ৪০০টি প্রেক্ষাগৃহে এবং ৬০০ থেকে ৭০০টি স্ক্রিনে তার চলচ্চিত্র একই সাথে মুক্তি পায়।
ভক্তরা তাকে পূজা করে এবং তিনি এমন একজন তারকা যার প্রায় প্রতিটি চলচ্চিত্র মোটা অঙ্কের আয় করে।
দর্শনের সাম্প্রতিক ছবি ‘কাটেরা’ও ১০০ কোটি রুপির বেশি আয় করেছে যা প্রমাণ করে সিনেমাটি বেশ হিট হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, দর্শন একটি ছবির জন্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।
ভারতের প্রাদেশিক চলচ্চিত্র শিল্প বিবেচনায়, এটি একটি বড় অংক। কারণ বেশির ভাগ প্রাদেশিক চলচ্চিত্রের বাজেট কম থাকে।
এমনকী দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও বেশির ভাগ ছবি মুক্তি পায় শুধুমাত্র একটি রাজ্যে।
গত ১১ জুন পুলিশ যখন দর্শনকে হেফাজতে নিতে মহীশূরের হোটেলে পৌঁছায়, তখনো তিনি তার আসন্ন ছবি ‘ডেভিল’-এর শুটিং করছিলেন।
তার নাটকীয় গ্রেফতার এবং তার পরের ঘটনাগুলো এখনো কর্ণাটক গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনামে উঠে আসছে।
দর্শন এবং অন্যান্য সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে কী প্রমাণ রয়েছে সে সম্পর্কে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো তথ্য দেয়নি।
তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে দর্শনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগের কথা বলছে।
টিভি চ্যানেলগুলোয় একটি অস্পষ্ট সিসিটিভি ফুটেজ প্রচার করা হয়েছে, যার ভিত্তিতে সাংবাদিকরা দাবি করছেন যে এটি রেণুকাসোয়ামির অপহরণের ভিডিও হতে পারে।
রেণুকাসোয়ামির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নিয়েও অনেক আলোচনা হচ্ছে এবং সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে খুনের রাতে দর্শনের পরা জুতো দর্শনের স্ত্রী বিজয়ালক্ষ্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজয়ালক্ষ্মী গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তার ও তার পরিবার নিয়ে যেকোনো খবর ছাপানোর বিরুদ্ধে আদালত থেকে আদেশও নিয়ে রেখেছিলেন।
এতদিন দর্শনের জীবন কেমন ছিল?
এই পুরো ঘটনার পর দর্শনের ব্যক্তিগত জীবনও সন্দেহের মুখে পড়ে যায় এবং তার এই ব্যক্তিগত জীবনে মিডিয়ার নজরদারি শুরু হয়ে যায়।
এভাবে জানা যায়, স্ত্রী বিজয়ালক্ষ্মীর সাথে তার জটিল সম্পর্কের কথা, একইসাথে বান্ধবী পবিত্রা গৌড়ার সাথে তার যোগাযোগের বিষয়টি।
এই অভিনেতার অতীতের বিভিন্ন আচরণের গল্পগুলো সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পুনরায় উঠে এসেছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে পবিত্রার একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্ট অনুসারে- তিনি ও দর্শন গত ১০ বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন।
অভিনেতা গ্রেফতার হওয়ার পর এই পোস্ট এখন ভাইরাল।
দর্শন কন্নড় চলচ্চিত্র অভিনেতা শ্রীনিবাস থোগুদিপার ছেলে। সত্তরের দশকে শ্রীনিবাস চলচ্চিত্রে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা ইয়োগিশ দর্শনকে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চেনেন।
ইয়োগিশ বলেছেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পরে দর্শন প্রথম প্রথম অনেক কষ্ট আর সংগ্রামের মধ্যে জীবন কাটিয়েছেন। তার পরিবারকে দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। বেশ অসহায় অবস্থায় ছিলেন।’
তার প্রথম কাজ ছিল একজন সিনেমাটোগ্রাফারের সাথে। সেটে লাইটিং ক্রুদের অংশ হিসেবে প্রতিদিন ১৫০ টাকা মজুরিতে কাজ করতেন দর্শন।
তবে দর্শনের ব্যক্তিত্ব ছিল চমৎকার এবং তার ভেতরে অভিনয়ের প্রবল ইচ্ছা ছিল।
‘ওই লম্বা-চওড়া-সুঠাম যুবকের উপস্থিতি বেশ প্রভাব বিস্তার করায় তাকে পরামর্শ দেয়া হয় তিনি যেন ক্যামেরার সামনে আসেন,’ জানান ইয়োগিশ।
প্রথম দিকে তিনি চলচ্চিত্র ও টিভিতে ছোট ছোট ভূমিকায় কাজ করতে শুরু করেন। শিব কুমার বলেছেন, ২০০২ সালে তার বড় ব্রেকটি আসে।
তিনি ‘ম্যাজেস্টিক’ সিনেমায় একজন ঠগ প্রেমিক বা অ্যান্টি হিরোর ভূমিকায় অভিনয় করে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন এবং নিজেকে একজন তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
চলচ্চিত্র সমালোচক এবং লেখক মুরলিধর খাজানে, যিনি কন্নড় সিনেমার উপর একটি বই লিখেছেন, তিনি বলেছেন যে এই ছবি বের হওয়ার সাথে সাথে দর্শনের ভক্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
সমাজের প্রান্তিক মানুষের ভালোবাসা পেয়ে তিনি ওই শ্রেণীর মানুষদের জন্য নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন। তারা দর্শনের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেতেন।
প্রযোজক ইয়োগিশ, যিনি ২০০৬ থেকে ২০০৬ সালে দর্শনের সাথে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন, তিনি বলেছেন যে দর্শন তার প্রথম দিনগুলোয় ভদ্র, পরিশ্রমী এবং সময় ও নিয়ম মেনে চলা একজন অভিনেতা ছিলেন।
ইয়োগিশ বলেছেন, ‘আমি তখনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম যে একদিন তিনি দর্শকদের প্রিয় হয়ে উঠবেন এবং পরে তা সত্য প্রমাণিত হয়।’
কন্নড় চলচ্চিত্রের সাথে যুক্ত শিবকুমারের মতে, ‘তবে দর্শনের চলচ্চিত্রগুলো সাধারণ ছিল এবং তিনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতেন।’
তবে অ্যাকশন হিরো হিসেবে তিনি সাফল্যময় ক্যারিয়ার ও খ্যাতি পেয়েছেন।
বেশির ভাগ ছবিতেই তিনি অনগ্রসর ও দলিত চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
‘সেই ছবির গল্পগুলোও এমন ছিল যে নায়কের ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গ করা ন্যায্য ছিল।’
‘এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দর্শনের পাশাপাশি আরো দুই অভিনেতা- কিচ্চা সুদীপ ও পুনীত রাজকুমার কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পে রাজত্ব করে আসছেন।’
দর্শনের জনপ্রিয়তার কারণে ভক্তরা তাকে ‘ডি-বস’ বলেও ডাকতে শুরু করেন।
দর্শনকে ‘চ্যালেঞ্জিং স্টার’ও বলা হতো। ‘কারণ তার কাছে সহজে কিছুই আসেনি, সবকিছুই ছিল চ্যালেঞ্জিং,’ বলেন ইয়োগিশ।
যাই হোক, মুরলিধর খাজানের মতে, দর্শন যে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন তা তিনি সামলাতে পারেননি। ‘এবং যখন তিনি সাফল্যের চূড়া ছুঁয়ে ফেলেন, তখন তিনি বুঝতে পারেননি যে তার কীভাবে আচরণ করা উচিত!’
আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন যে কারণে
এই অভিনেতা তার এমন আচরণের কারণে ২০১১ সালে একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন।
তার স্ত্রী বিজয়ালক্ষ্মী তাকে গার্হস্থ্য নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করার কারণে তিনি চার সপ্তাহ জেলে ছিলেন।
সেই সময়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের অভিযোগের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল যে দর্শন তার স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করেছেন, তাকে রিভলবার দিয়ে হুমকি দিয়েছেন এবং তাকে সিগারেটের বাট দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন।
তার স্ত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দৃশ্যমান হওয়া সত্ত্বেও চলচ্চিত্র শিল্প এবং তার ভক্তরা তাকে সমর্থন করতে থাকে।
অর্থাৎ এত বিতর্কের পরেও দর্শনের খ্যাতিতে কোনো ভাটা পড়েনি। বরং জেলে থাকার সময় তার ছবি ‘সারথি’ মুক্তি পায় এবং ব্যাপক হিট হয়।
যদিও পরে তার স্ত্রী এসব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন এবং দর্শনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
জেল থেকে বেরিয়ে এসে তিনি ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে এক ধরনের ‘ধন্যবাদ ভ্রমণে’ রাজ্যজুড়ে সফর করেন।
এই সময় দর্শন তার ভক্তদের সামনে বলেছিলেন, ‘আমাকে দয়া করে ক্ষমা করুন কারণ আমি আপনাদের সামনে একটি ভুল উদাহরণ তৈরি করেছি।’
এ নিয়ে মুরলিধর খাজানে বলেন, ‘এই ঘটনার পর কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পের বেশির ভাগ মানুষ, বিশেষ করে যারা তাকে সমর্থন করত তারা দর্শনের থেকে তাদের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেন। কিন্তু এটি তার বক্স অফিস সাফল্যে তেমন বড় কোনো প্রভাব ফেলেনি।’
দর্শনের বিরুদ্ধে এত গুরুতর অভিযোগের পরেও কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বেশির ভাগ লোক তার সম্পর্কে প্রকাশ্যে কিছু বলা এড়িয়ে চলেন। পুরো ইন্ডাস্ট্রি যেন স্তব্ধ ছিল।
এই বিষয়ে মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন অভিনেতা প্রকাশ্যে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
খাজানের মতে, চলচ্চিত্র শিল্পের এই নীরবতার পেছনে বাণিজ্যিক স্বার্থও থাকতে পারে।
এর আরেকটি কারণ হলো, দর্শনের সিনেমাগুলো কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রায় ১৫০ কোটি রুপির লগ্নি ঝুঁকিতে রেখেছে।
‘যদি দর্শনকে শাস্তি দেওয়া হয় বা তিনি যদি কারাগারে থাকেন, তবে তার তিনটি আসন্ন ছবির সবকটিই স্থগিত বা বিলম্বিত হয়ে যাবে বা তাদের শুটিং বন্ধ করে দিতে হবে। তাই তাকে নিষিদ্ধ করার সামর্থ্য তাদের নেই,’ বলেন খাজানে।
ইয়োগিশ স্বীকার করেছেন যে দর্শনের গ্রেফতার ও তার জেলে যাওয়া কন্নড় চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য একটি বিশাল ক্ষতি।
তিনি বলেছেন, ‘দর্শনকে নিষিদ্ধ করার দাবি এই মুহূর্তে ঠিক নয় কারণ তদন্ত এখনো চলছে। এবং একজন ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ।’
ইয়োগিশ বলেছেন, ‘আমার একটাই অনুরোধ, পুরো বিষয়টির আইনি বিচার হওয়া উচিত, মিডিয়া ট্রায়াল যেন না হয়।’
‘আমি বলছি না যে তিনি নির্দোষ, তবে এই মুহূর্তে তাকে একজন খলনায়ক হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে এবং আইনি বিচারের আগেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে।’
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা