শক্তি প্রমাণে ২ নায়িকার কোমর বাঁধা লড়াই
- আবুল কালাম
- ২৮ মে ২০২৪, ১৩:৫৬
শাকিব খানকে নিয়ে দুই সতিনের অস্তিত্বের লড়াই শেষ না হতেই নতুন করে সমালোচনায় জড়িয়েছেন আরো দুই নায়িকা। কার শক্তি কেমন, বা কার মান কত তা প্রমাণে রীতিমতো কোমর বেঁধে আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন তারা। ‘ডু আর ডাই’-এর মতো কঠিন প্রতিজ্ঞায় লিপ্ত এই দুই শিল্পি হলেন চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা মিষ্টি জান্নাত ও চিত্রনায়িকা ফারজানা ইয়াসমিন তমা (তমা মির্জা)। দু’জনই রূপালী জগতে পরিচিত মুখ হলেও মিষ্টি জান্নাত এখন ভাইরাল কন্যা নামেও বেশি আলোচিত।
দু’জনের মধ্যে এতদিন কোনো রেষারেষি না থাকলেও এখন জাত শক্র হিসেবে তারা বেশ সমালোচিত। একে অন্যের ওপর হামলে না পড়লেও পাল্টাপাল্টি আইনি ঠান্ডা লড়াইয়ে তারা প্রমাণ করেছেন, একই প্লাটফর্মে কাজ করেও দোস্ত থেকে দুশমন হতে সময় লাগে না।
সমালোচকরা বলছেন, আলোচনায় সমাধান হয় এমন সামান্য বিষয় আদালত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া শিল্পি সমাজের নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। অন্যদিকে জেদের বসে আইনি লড়াইয়ে মানহানির তকমা দিয়ে টাকার অঙ্কে নিজেদের মান দাবি করাটাও অশোভনীয়। এতে দু’জনের মধ্যে শক্তির মহড়া হলেও তাদের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট হবে। সংঘঠিত ঘটনাকে অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করে তারা বলেন, এতে প্রমাণিত যে এ শিল্পে আর অভিভাবক বলে কেউ নেই।
উত্তাপ ছড়ানো এ ঘটনার সূত্রপাত হয় গত সপ্তাহে। মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়া এবং ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মিষ্টি জান্নাতকে আইনি নোটিশ পাঠান তমা মির্জা। নোটিশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা দু’টি ভিডিওর বক্তব্যের কথাও উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘আপনার বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করব না, তমা মির্জাকে খোঁচা দিয়ে মিষ্টি জান্নাত’ এবং অন্য একটি আপত্তিকর শিরোনামের ভিডিওতে মানহানিকর বক্তব্য রয়েছে বলে তমার পক্ষ থেকে দাবি করেন তার আইনজীবী। নোটিশে তমা মির্জার ১০ কোটি টাকার সুনাম নষ্ট হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
তমার নোটিশ প্রেরণের সপ্তাহ না যেতেই জবাবে পাল্টা নোটিশ পাঠান নায়িকা মিষ্টি জান্নাত। এতে তিনি তমা মির্জার দেয়া নোটিশকে অসত্য, অস্পষ্ট ও অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে তা প্রত্যাহার এবং তিন দিনের মধ্যে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থার কথা জানান।
আইনি নোটিশের পর মিষ্টি জান্নাত নিজের অবস্থান ব্যখ্যা করেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, তিনি তার বক্তব্যে কারো নাম উল্লেখ করেননি। তার প্রশ্ন যেখানে তিনি কারো নাম উল্লেখ করেননি, সেখানে তমা মির্জার মানহানি হয় কি করে? কেন তিনি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে তা তার বোধগম্য নয়।
অপরদিকে তমা মির্জার দাবি, মিষ্টি জান্নাত তাকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন এর প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। যা আদালতে প্রমাণ হবে। প্রয়োজনে আইন অনুযায়ী এ নিয়ে মামলায় হবে।
দুই শিল্পির মধ্যে বিরাজমান ঘটনাকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের ভাষ্য চলচ্চিত্রাঙ্গনে মামলা, পাল্টা মামলা, রিট, আইনি নোটিশ এমন বিষয়গুলো যেন খুব সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই ঘটনাও তারই অংশ।
এমনটি দুঃখজনক ও এ শিল্পের জন্য নেতিবাচক উল্লেখ করে তারা বলেন, এমন ঘটনার পর বিষয়টি সমাধানে এগিয়ে আসার কেউ কি ছিলেন না? যদি তাই হয় তবে এ ঘটনা প্রমাণ করে এ শিল্পে আর অভিভাবক বলে কেউ নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা