সালমানকে আবারো প্রাণে মারার হুমকি, ভক্তদের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা পুলিশের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ মার্চ ২০২৩, ১৪:৫৮
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খানকে নতুন করে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে তার অফিসে ই-মেইল এসেছে শনিবার। তার পর থেকেই ফের নড়েচড়ে বসেছে মুম্বাই পুলিশ। হুমকি চিঠির পর সালমানের নিরাপত্তা আরো বেশি করে জোরদার করা হয়েছে। গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নামে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে।
রোহিত গর্গ নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে হুমকি ভরা ই-মেইলটি আসে ‘ভাইজানের’ কাছে।
জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টা সালমানের নিরাপত্তায় দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর এবং ৮-১০ জন পুলিশ কনস্টেবল মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সালমান খানের বান্দ্রার বাড়ি, গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে ভক্তদের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
আগেই সালমানকে ওয়াই+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। বুলেট-প্রুফ গাড়িতে করেই এখন যাতায়াত করেন ভাইজান, পুলিশ ছাড়াও ২৪ ঘণ্টা সালমানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে তার নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা। ‘দাবাং’ খানের ব্যক্তিগত বডিগার্ড শেরা নিজে খতিয়ে দেখেন সালমানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব দিক।
শনিবারের আসা হুমকি ই-মেইলের পর প্রশান্ত গুঞ্জালকর মুম্বাই পুলিশের কাছে এফআইআর রুজু করান। সালমানের বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত রয়েছে প্রশান্ত গুঞ্জালকরের, তিনি আর্টিস্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি চালান। ওইদিন বিকেলে সালমানের অফিসে তিনি ওই হুমকি ই-মেইল দেখেন।
জানা গেছে, ওই ই-মেইলে লরেন্স বিষ্ণোই ‘ম্যাটার ক্লোজ’ করার কথা বলেছেন সালমানকে। ওই হুমকি ভরা মেইলে গোল্ডি জানতে চেয়েছেন যে লরেন্সের ইন্টারভিউটা সালমান দেখেছেন কিনা, যেখানে লরেন্স বিষ্ণোইকে কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যার জন্য সালমানকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন, নাহলে ফল ভোগ করার হুমকি দিয়েছেন।
তিহার জেলে বন্দী গ্যাংস্টার লরেন্সের ডানহাত গোল্ডি।
প্রশান্ত জানিয়েছেন, ওই ই-মেইলে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ‘এখনো সময় আছে, পরের বার ঝটকা লাগবে’।
ইতোমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি, ৫০৬-II এবং ৩৪ ধারায় এফআইআর রুজু করা হয়েছে।
গত বছর জুন-মাসেই হাতে লেখা চিঠি দিয়ে সালমান খানকে হুমকি দেয়া হয়েছিল।
পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসওয়ালার হত্যার মামলায় আপতত জেলবন্দী লরেন্স।
কেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেট সালমান খান?
এর জন্য পিছিয়ে যেতে হবে দু’দশক। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য করা হয় কৃষ্ণসার হরিণকে। কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষাকর্তা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অংশ লরেন্স। ১৯৯৮ সালে সালমান খানের উপর যোদপুরে ফিল্মের শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল ভাইজান। এর আগে বেশ কয়েকবার সালমান খানকে শার্প শুটার দিয়ে হত্যার ছক কষেছে লরেন্স বিষ্ণোই। ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘যোদপুরে সালমান খানকে আমরা হত্যা করব।’
উল্লেখ্য, কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলা এখনো যোধপুর কোর্টে বিচারাধীন।
এদিকে, ভাইজানকে সামনে কিসি কা ভাই কিসি কী জান ছবিতে দেখা যাবে। এটি আগামী ঈদের দিন মুক্তি পেতে চলেছে। তবে এই হুমকির জেরে ছবির প্রচার কাজে যে বেশ বাধা আসবে তা স্পষ্ট।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা