২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বাড়ি থেকে বউ-বাচ্চাকে বের করে দেয়ার অভিযোগে যা বললেন নওয়াজ

স্ত্রী ও মেয়েসহ নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী - ছবি : সংগৃহীত

বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর নামে আইনি অভিযোগ এনেছেন স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকী। অনলাইনে ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়েসহ তাকে বাড়ি থকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করছেন আলিয়া। এজন্য শুধু নওয়াজ নন, তার মায়ের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আলিয়া।

তবে এতদিন সংবাদমাধ্যমের সাথে এ নিয়ে কোনো কথা না বললেও এবার তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের জবাব দিয়েছেন নওয়াজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন তিনি।

বলেছেন, স্ত্রীর সাথে কুৎসিত যুদ্ধে নিজের মুখ বন্ধ রেখেছিলেন কারণ তিনি জানতেন এর প্রভাব তার ছোট বাচ্চার ওপর পড়বে। তিনি দাবি করেন, ‘একতরফা ও কারসাজি করা ভিডিও’ ছড়িয়ে দিয়ে তার চরিত্র নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।

সামাজিক মাধ্যমে যা লিখেছেন নওয়াজ
‘প্রথমত আমি ও আলিয়া বেশ কয়েক বছর ধরে একসাথে থাকি না, ইতোমধ্যেই আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তবে আমরা এতদিন কেবল আমাদের বাচ্চাদের জন্যই বোঝাপড়া করছিলাম’, লেখেন তিনি। সাথে যোগ করেন, ‘কেউ কি জানেন, কেন আমার বাচ্চারা ভারতে আছে এবং বিগত ৪৫ দিন ধরে স্কুল যাচ্ছে না? যেখানে স্কুল আমাকে প্রতিদিন চিঠি পাঠাচ্ছে যে তাদের অনুপস্থিতির অনেক দিন হয়ে গেছে। আমার বাচ্চাদের গত ৪৫ দিন ধরে বন্দী করা হয়েছে এবং দুবাইতে তাদের স্কুলের পড়া তারা মিস করছে।’

‘সর্বশেষে কিন্তু সর্বনিম্ন নয় - এই গ্রহের কোনো অভিভাবক কখনোই চাইবেন না যে তাদের বাচ্চাদের পড়াশোনায় বাধা পড়ুক বা তাদের ভবিষ্যতের ক্ষতি হোক। তারা সর্বদা চেষ্টা করেন সেরাটা বাচ্চাদের দিতে। আমি আজ যা উপার্জন করছি তা সবই আমার উভয় বাচ্চার জন্য এবং কোনো ব্যক্তিই এটি পরিবর্তন করতে পারে না। আমি শোরা ও ইয়ানকে ভালোবাসি এবং তাদের মঙ্গল ও তাদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে আমি যেকোনো প্রান্তে যাব। আমি এখন পর্যন্ত সমস্ত মামলায় জিতেছি এবং আমার বিশ্বাস অব্যাহত রাখব বিচার বিভাগের উপর। ভালোবাসা কাউকে আটকে রাখা নয়, একজনকে সঠিক পথে উড়তে দেওয়া’, উপসংহারে লেখেন নওয়াজ।

নওয়াজের অভিযোগ আলিয়ার উপরে
নওয়াজ তার এই বিবৃতিতে যে সমস্ত অভিযোগ এনেছেন আলিয়ার উপরে তা হলো-

আলিয়া শেষ চার মাস দুবাইতে বাচ্চাদের একা ছেড়ে দিয়েছিলেন মুম্বাইতে ডাকার আগে। দু’বছর ধরে অভিনেতার পক্ষ থেকে মাসে ১০ লাখ টাকা দেয়া হয় আলিয়াকে। দুবাইয়ে যাওয়ার আগে দিতেন ৫-৭ লাখ। যার মধ্যে অবশ্য নেই বাচ্চাদের স্কুলের বেতন, চিকিৎসার খরচ, যাতায়াতের খরচ।

নওয়াজ জানান, আলিয়ার প্রযোজনায় শেষ তিনটি ছবিতে টাকাও ঢেলেছেন তিনি, কারণ তিনি তার সন্তানদের মা।

বাচ্চাদের বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন নওয়াজ, যা বিক্রি করে সেই টাকা খরচ করেন আলিয়া নিজের দরকারে।

মুম্বাই ভারসোভাতে বাচ্চাদের জন্য একটি সমুদ্রমুখী বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও কিনে দিয়েছেন, যেখানে আলিয়া নিজেও থাকেন।

নওয়াজ আরো দাবি করেন, আলিয়া শুধু টাকা চান। তাই এভাবে একের পর এক মামলা করে চলেছেন। আগের বরের সাথেও এমনটা করেছিলেন। তারপর মনমতো টাকা মিলতেই সব কেস বন্ধ করে দেন।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement