চলচ্চিত্র রক্ষায় প্রাণপন চেষ্টায় অনন্ত জলিল, সমালোচনার কড়া জবাব
- আবুল কালাম
- ২২ জুলাই ২০২২, ২৩:৩৮
নায়ক অনন্ত জলিল। চলচ্চিত্রে আসার খুব বেশী দিন হয়নি। ইতোমধ্যে ছবি নির্মান ছাড়াও মডেল হয়েছেন তিনি। যতোগুলো ছবি নির্মান করেছেন তার প্রতিটিতে বড়ো বাজেটের সাথে ভিন্নতার জন্য সমালোচনার চেয়ে বেশী প্রশংসিত হয়েছেন। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত তার বিশাল বাজেটের ছবি ‘দিন দ্য ডে’ মুক্তির পর হলে দর্শক ফেরাতে মাঠে নামেন অনন্ত ও তার স্ত্রী চিত্র নায়িকা বর্ষা।
অনন্ত বলছেন, অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়া চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষায় তারা প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু একটি মহল তাদের এমন উদ্যোগে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। নানানভাবে তাদের বিরুদ্ধে প্রপ্রাগান্ডা ছড়িয়ে তাদের বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে গতকাল বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবি দেখতে আসেন অনন্ত ও নায়িকা বর্ষা। এ সময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে অনন্ত তাকে নিয়ে সমালোচনার কড়া জবাব দেন।
অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমি চাই মানুষ হলে আসুক। ছবি দেখুক। তাতে এ শিল্প বাঁচবে। তাই মানুষকে সিনেমামুখী করতে কাজ করছি। আমি চাই মানুষ আমার ছবি নিয়ে সমালোচনা করুক। তবে তা হবে গঠনমূলক। তাতে একজন শিল্পী তার ভুলগুলো শুধরাতে পারে।। কিন্তু যা শুরু হয়েছে তাকে সমালোচনা না বলে ব্যক্তিগত আক্রমন বলতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি যখন ব্যবসায় আসি তখন আমার কোম্পানীত মাত্র ৪০০ লোক কাজ করতো। তাও ভাড়া বিল্ডিংয়ে। আমি বিজনেসে আসার পর হেমায়েতপুরে জায়গা কিনে বিল্ডিং করেছি। আজকে সেখানে ৬৪ বিঘার ওপর কোম্পানীতে সাড়ে ১২ হাজার লোক কাজ করে। আমি আট থেকে ৯ বার সিআইপি হয়েছি। কারণ, একটাই যে যা বলেছে আমি সেটাকে অনুসরণের চেষ্টা করেছি।‘
তিনি বলেন, আমি চাই দেশে ভালো সিনেমা হোক। যারা কাজ করবে তারা দক্ষ হয়ে উঠুক। তাই
যারা ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক তারা চাইলে তাদেরকে আমি ইউরোপ আমেরিকায় পাঠিয়ে ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনার বিষয়ে সহযোগিতা করবো।
অনন্ত বলেন, আমার ছবি নিয়ে যারা উচ্চ শিক্ষিত, এব্যাপারে জানেন তাদের রিভিউগুলো আমরা দেখছি। আর যারা পারসোনাল অ্যাটাক করছেন তাদের এসব দেখার সময় নেই। আপনারা জানেন, ‘দিন দ্য ডে’-এর মতো মুভি করা সম্ভব ছিল কি না। এ মুভি আমরা বাংলা ভাষায় দেখছি বলে মনে হচ্ছে এটা বাংলা ছবি। এছাড়া বুঝা যাবে না যে এটা বাংলা মুভি। এটা নিয়ে আমরা গর্ব করি। কারণ, আমরা বাংলাদেশী।
সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আজ আমার কাজ যারা দেখছেন আমি তাদের কাজ থেকে গঠনমূলক সমালোচনা চাই। কারণ আমি তাদের কাছ থেকে শিখতে চাই। তাই বলে আমাকে অবমূল্যায়ন করবেন সেরকম মানুষ আমি নই। কারণ আমি শিক্ষায় ম্যানচেষ্টার থেকে বিবিএ করা ছেলে। তাই আমাকে এতো ছোট করে দেখার কিছু নেই। এটা সবাইকে বুঝতে হবে। আমি অনন্ত জলিল জীবনে যা করেছি সমালোচকদের সে জায়গায় গিয়ে দেখাক। আমার সমালোচনা করতে হলে আগে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আদার ব্যাপারি হয়ে জাহাজের খবর নেয়ার দরকার নেই। কারণ অনেক আগেই শিক্ষিতরা ছবি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন আমি অনন্তের ছবির কারণে তারা আবার সিনেমা দেখতে আসছে।’
তিনি বলেন, আমি জীবনে ১০ টাকা কামালে ৯ টাকা গরীবদের জন্য খরচ করেছি। এ নিয়ে কেউ কেউ বলেছে এই মানবিক কাজগুলো নাকি আমি মুভি প্রচারের জন্য করি। অথচ আমি এ কাজ সারা বছর করি। করোনার সময়ও কমপক্ষে চার কোটি টাকা মানুষকে দিয়েছি। তাদের পকেট থেকে তো ১০ টাকাও বের হয় না। বন্যার সময়ও কোটি টাকা মানুষকে দিয়েছি। তারপরও সমালোচনা শুনতে শুনতে ধৈর্যহারা হয়ে যাচ্ছি। অথছ আজ আমি এখানে নিজের যোগ্যতা দক্ষতায় এসেছি।
তিনি বলেন, সমালোচনা করবেন সমস্যা নেই। কিন্তু সেটা হতে হবে যুক্তিসঙ্গত। অথচ তা না করে ব্যক্তিগত আক্রমন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা সমালোচনা করছে তারা কোন যোগ্যতায় তা করছে। আমার মতো ছবি এতোদিন তারা কেনো বানাতে পারেনি। কারণ এখানেও যোগ্যতা অর্জনের বিষয় আছে। তাই সমালোচকদের উচিত অনন্ত জলিলের মতো যোগ্যতা অর্জন করে তারপর সমালোচনা করা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা