চলচ্চিত্রে দিতে এসেছি নিতে নয় : ডিপজল
- সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
- ২৫ মার্চ ২০২২, ১৬:২৮
চলচ্চিত্রের প্রধান সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তিনি যে প্যানেল থেকে লড়বেন তার সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান।
এ ব্যাপারে ডিপজল বলেন, চলচ্চিত্রের মাদার অর্গানাইজেশন হচ্ছে প্রযোজক সমিতি। প্রযোজকরা অর্থলগ্নি করলে সিনেমা নির্মিত হয়, না করলে হয় না। প্রযোজকদের এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতায় অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে। প্রশাসক দিয়ে চালানো হয়েছে। এখন এ সমস্যার সমাধান হয়েছে। নির্বাচন হবে। আমি এ নির্বাচনে সেলিম খানকে সভাপতি করে নির্বাচন করব।
তিনি বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা দুজনই বর্তমানে একের পর এক সিনেমা নির্মাণ করছি। অন্যদের যেভাবে এগিয়ে আসা বা সিনেমা নির্মাণ করার কথা তারা সেভাবে এগিয়ে আসছেন না। সমিতির ৫০ জন সদস্যও যদি বছরে একটি করে সিনেমা নির্মাণ করতো তাহলে বছরে অন্তত ৫০টি সিনেমা দর্শক পেত। চলচ্চিত্রের আজকের এই দুরবস্থার সৃষ্টি হতো না। এ উদ্যোগটি কেউই নিচ্ছে না। আমি এবং সেলিম খান দুজনে মিলেই কমপক্ষে ৫০টি সিনেমা নির্মাণ করছি। অন্যরা এগিয়ে এলে সংখ্যাটি আরো বাড়ত। তাহলে চলচ্চিত্র গতি পেত এবং সিনেমা হলও বন্ধ হতো না।
ডিপজল বলেন, আমরা দুজন নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি চলচ্চিত্রকে গতিশীল করার জন্য। আমরা চলচ্চিত্র থেকে নিতে আসিনি, দিতে এসেছি। চলচ্চিত্র না বানালেও আমাদের কিছু যায়-আসতো না। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। তারপরও ভালোবেসে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে যাচ্ছি। প্রযোজক সমিতি যদি গতিশীল হয়, তাহলে এর নেতৃত্বে চলচ্চিত্রের বর্তমান দৈন্যদশা কাটানো সম্ভব। অন্য প্রযোজকদের উৎসাহ দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে আনা যাবে। আমরা নির্বাচিত হলে এই উদ্যোগটা নেব। প্রযোজকরা যাতে সিনেমা নির্মাণ করে লোকসানের ভয়ে না থাকে, লাভ করতে পারে, এ পরিবেশ সৃষ্টি করব।
তিনি বলেন, সিনেমা হল মালিকরা যাতে সিনেমার অভাবে হল বন্ধ করে না দেয় এবং যেসব হল বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো খোলার ব্যাপারে উদ্যোগ নেব।
ডিপজল বলেন, যদি একের পর এক দর্শকদের পছন্দের সিনেমা নির্মিত হয়, সিনেমা হল এমনিতেই সচল হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া হল খুলবে। নির্বাচিত হলে আমরা এ লক্ষ্যেই কাজ করব।
‘সিনেমা থেকে আমার ও সেলিম খানের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমরা চাই, একের পর এক সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়ে হলমুখী করতে। সিনেমার বাজার ফিরিয়ে আনতে। সমিতির অন্য সদস্যদের উৎসাহ দিয়ে চলচ্চিত্রকে চাঙ্গা করতে একসাথে কাজ করতে চাই,’ বলেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা