আমি কারাগারে নই, ভিডিও বার্তায় দেবাশীষ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৩০

প্রতারণার মামলায় উপস্থাপক ও নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় নিজের বাসা থেকে একটি ভিডিও বার্তায় দেবাসীষ বলেছেন, আমি কারাগারে নই। এই মহুর্তে আমি বাসায় আছি। কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করে আমার আটকের খবর গণমাধ্যমে দিয়েছে।
দেবাশীষ তার ভিডিও বার্তার উপরে লিখেন, ভুল বোঝাবুঝি'র হোক অবসান! তিনি বলেন, আজ (বুধবার) যে মামলায় কোর্টে হাজিরা ছিল। ওই মামলার বাদী আমার বন্ধু। বিচারক আমাদের বলেছেন, আপনারা নিজেরা একজায়গায় বসে বিষয়টা সমাধান করে ফেলুন। আমরা সেটাই করেছি।
এর আগে বুধবার দুপুরের দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, প্রতারণার মামলায় উপস্থাপক ও নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে কথা উল্লেখ করে ওই খবরে লেখা ছিল, আসামি দেবাশীষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকায় বুধবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে দেবাশীষ বিশ্বাস বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, সিএনটিভি ইউটিউব চ্যানেলের মালিক লিটন সরকার ইমন নামের এক ব্যক্তি দেবাশীষ বিশ্বাসের মা গায়ত্রী বিশ্বাস প্রযোজিত চারটি বাংলা চলচ্চিত্র—‘মায়ের মর্যাদা’, ‘শুভ বিবাহ’, ‘অপেক্ষা’ ও ‘অজান্তে’ ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করতে ৬০ বছরের জন্য এক লাখ ৪০ হাজার টাকায় ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই বাণিজ্যিক শর্তে কিনে নেন। তিনি ছবিগুলো ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ চ্যানেল বন্ধ করে দেয়। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, এ চারটি চলচ্চিত্র ২০১৭ সালে অন্য দু'জন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়েছে। যার কারণে ইউটিউব চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ছবিগুলো আপলোড করার পর লিটন সরকার ইমনের চ্যানেল বন্ধ করে দেয়।
এরপরই ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সিএমএম আদালতে লিটন সরকার ইমন দেবাশীষ বিশ্বাস ও তার মায়ের নামে প্রতারণার মামলা করেন। পরে আদালত এ বিষয়ে মিরপুর রূপনগর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্ত কর্মকর্তা ও রূপনগর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ মোকাম্মেল হোসেন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা