তিনি থাকলে হয়তো সুশান্ত বেঁচে যেতেন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ জুন ২০২০, ২১:৩৯, আপডেট: ২০ জুন ২০২০, ২১:৪১
একের পর এক ছবি থেকে বাদ পরার হতাশকে আরো গাঢ় করে ছিলো সম্পর্ক ভাঙা গড়ার খেলা। রিয়া চক্রবর্তী, সারা আলি খান, কৃতি শ্যানন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অনেক নারীর সাথেই জড়িয়েছে সুশান্ত সিং রাজপুতের নামটি। তবে প্রকৃত ভালোবাসার মানুষটিকে তাচ্ছিল্য করেই হতাশার বৃত্তে আটকে গিয়ে ছিলেন তিনি। অথচ তার প্রথম ভালোবাসার মানুষ অঙ্কিতা লোখাণ্ডে সব সময়ই তার জন্য চোখের পানি ফেলেছেন।
একতা কাপুর প্রযোজিত ‘পবিত্র রিশতা’তে কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় সুশান্ত-অঙ্কিতার। সেখানে থেকেই শুরু ভালো লাগা ও ভালোবাসার। এই তারকা জুটি মিলে অংশ নিয়েছিলেন নাচের প্রতিযোগীতামূলক অনুষ্ঠান ‘ঝালাক দিখ লা জা’তে। যেখানে অঙ্কিতাকে লাখ লাখ দর্শকের সামনে ভালোবাসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুশান্ত।
দীর্ঘ ছয় বছর ভালোবাসার সম্পর্কে ছিলেন সুশান্ত-অঙ্কিতা। থাকতেন একই ছাদের নিচে। বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবেন বলেও প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎ করেই একটি ঝড় এসে লণ্ডভণ্ড করে দেয় সবকিছু। প্রেমের সম্পর্কের পাট চুকিয়ে ফেলেন তারা।
গত ১৪ জুন বিষণ্নতার কাছে হার মেনে মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজের ফ্ল্যাটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত।
কিন্তু সুশান্তের জীবনে যদি অঙ্কিতা থাকতেন তাহলে হয়তো এমন পদক্ষেপ কখনও নিতেন না তিনি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সুশান্ত-অঙ্কিতার সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে এমনটাই লিখেছেন তাদের বন্ধু সন্দীপ সিং।
সন্দীপ লিখেছেন ‘প্রিয় অঙ্কিতা, যতোই দিন যাচ্ছে ততোই মনে হচ্ছে, যদি আমরা জোর দিয়ে আরও একটু চেষ্টা করতাম তাহলে তাকে আটকে রাখতে পারতাম।’
যোগ করে সন্দীপ লিখেছেন ‘তোমরা যখন থেকে আলাদা হয়েছে তুমি তার সুখ ও সফলতার জন্য সবসময় প্রার্থনা করেছো। তোমার ভালোবাসা ছিলো পবিত্র। এমনকি তুমি এখনও তোমার বাসার নেমপ্লেট থেকে সুশান্তের নাম তুলে ফেলোনি। সেই দিনগুলো খুব মিস করি যখন আমরা তিনজন লোখাণ্ডওয়ালা পরিবার হিসেবে থাকতাম। একসাথে রান্না করতাম। একসাথে খেতাম। তিনজন মিলে লং ড্রাইভে যাওয়া।হোলি উৎসবে আমাদের পাগলামি।’
সুশান্ত-অঙ্কিতার ভালোবাসা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা এখনও বিশ্বাস করি তোমরা একে অপরের জন্যই তৈরি। তোমাদের ভালোবাসা পবিত্র। স্মৃতিগুলো এখন শুধু কষ্টই দিয়ে যাচ্ছে। কী করে আবার ফিরে পেতে পারি সেসব! আবার একসঙ্গে হতে চাই আমরা তিনজন। মালপোয়ার (পিঠা) কথা মনে আছে? আমার মায়ের মাটন কারির জন্য ও (সুশান্ত সিং রাজপুত) কিভাবে ছোট মানুষের মতোই না বায়না করতো!’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা