০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬
`

অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজ জুনের মধ্যে শেষ করার আহ্বান উপদেষ্টা ফারুকীর

- ছবি - ইউএনবি

আগামী জুন মাসের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেছেন, চলচ্চিত্র নির্মাণে সম্পূর্ণ আর্থিক সহযোগিতা দেবে সরকার। এক্ষেত্রে চলচ্চিত্রগুলোর খরচ পরিচালক ও সার্চ কমিটি ঠিক করবে।

আজ মঙ্গলবার ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভ্যুলেশন’- এর আওতায় চলচ্চিত্র নির্মাণ শীর্ষক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উপদেষ্টা এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, পরিচালকদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা দেখছি যে উনারা ৫০টি কাজ করেছেন কি না। এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরিচালকরা একটি কাজ করেছে কি না, যেটিকে আমি উল্লেখ করতে পারি। এছাড়া আমরা দেখার চেষ্টা করেছি তাদের মধ্যে আগুনটি আছে কি না।

এদিকে, আটটি বিভাগে আটটি মাঝারি দৈর্ঘ্যের কনটেন্ট বা ফিল্ম নির্মাণে ওয়ার্কশপ পরিচালনায় আটজন চলচ্চিত্র পরিচালককে নির্বাচন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, এই আটজনই জানেন তাদের দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে। তারা যে কাজটি করবেন, সেই কাজের দিকেই সবাই তাকিয়ে আছেন। তারা এটার ওজন জানেন এবং তারা সেটি রক্ষা করবেন। তারা কী নির্মাণ করবেন, সে বিষয়ে আমরা তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছি। এটি যেন আর একটা সরকারি কাজ হয়ে ব্যর্থতায় পর্যবসিত না হয়। আমরা চাই এ আটটি ছবি এনগেজিং হোক। ছবিগুলো আগামী দিনের চলচ্চিত্রের পথ দেখাবে। সেই বিষয়গুলো নিশ্চয়ই তাদের গল্পের মধ্যে থাকবে।

সচিবালয়ে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে গঠিত সার্চ কমিটির সদস্য সুমন রহমান পরিচালকদের নাম ঘোষণা করেন।

তারা হলেন অনম বিশ্বাস, হুমায়রা বিলকিস, শঙ্খ দাশগুপ্ত, শাহীন দিল রিয়াজ, রবিউল আলম রবি, তাসমিয়াহ আফরিন মৌ ও মো: তাওকীর ইসলাম।

সুমন বলেন, ‘সার্চ কমিটির লক্ষ্য আটজন চলচ্চিত্রকার নির্বাচন করা, যারা ২০২৫ সালে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে চলচ্চিত্র-বিষয়ক কর্মশালা করে পরিচালনা করবেন ও প্রশিক্ষিত জনবল নিয়ে আটটি চলচ্চিত্র তৈরি করবেন।’

এছাড়া, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দু’টি লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে বলে জানান সার্চ কমিটির এই সদস্য। তার একটি হচ্ছে, শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সাথে ঢাকা ও এর বাইরের আগ্রহী তরুণ জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ তৈরি করা এবং তাদের কর্মদক্ষতা তৈরি ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেয়া।

দ্বিতীয়টি হচ্ছে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষকদের সাথেই চলচ্চিত্র নির্মাণে অংশগ্রহণ করা।

সুমন বলেন, ‘এসব কর্মশালা ও চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য কোনো ছক বেঁধে দেয়া হয়নি। এতে করে শিল্পীরা তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে সমর্থ হবেন এবং শৈল্পিক, রাজনীতিমনস্ক, বৈপ্লবিক ও তারুণ্যমণ্ডিত শিল্পভাষা তৈরি করতে আরো স্বাচ্ছন্দ্য হবেন।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যে দীর্ঘ দুঃসময় আর রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব পার হয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস ফেলছে, তার একটি শৈল্পিক ভাষ্য এসব চলচ্চিত্রে দেখতে পাব।’

‘এসব কর্মশালা ও চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া ঢাকার বাইরের একটি বিরাট জনগোষ্ঠীকে এর সাথে যুক্ত করবে। এই বিপ্লবোত্তর সময়ে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিল্পসংস্কৃতির একটি নতুন ভাষ্যের সন্ধান দেবে।’

তিনি জানান, প্রতিটি বিভাগে কর্মশালার জন্য একটি গুগল ফর্ম তৈরি করা হবে, সেটির মাধ্যমে আবেদনকারীদের আবেদন করতে বলা হবে। নির্দিষ্ট বিভাগের পরিচালকরা প্রার্থীদের নির্বাচন করবেন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
কক্সবাজারে শিশুকে অপহরণ করে হত্যা, লাশ উদ্ধার সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন লাল কার্ডে মাঠের বাইরে ভিনিসিয়াস ৭ বছর পর লন্ডনে মা ও মাতৃস্নেহ বঞ্চিত ছেলের সাক্ষাৎ রাশিয়ার সু-৩৪ সুপারসনিক বোমারু বিমানের ইউক্রেনের শক্তিশালী অবস্থান কুরস্ক সীমান্তে হামলা মাদুরোর শপথ গ্রহণের প্রাক্কালে বিক্ষোভ ও সমাবেশের প্রস্তুতি বেনজীরের স্ত্রী-মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরাইলি বন্দীদের পরিবারগুলোর মামলা ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব নিয়ে স্বৈরাচারের দোসরদের অপপ্রচারের প্রতিবাদ গ্রামীণ ব্যাংকে কমতে পারে সরকারি মালিকানার অংশীদারিত্ব একেনেকে ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

সকল