১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

বাড়ির জমির রেজিষ্ট্রি না পাওয়ায় ৬০ পরিবারের সাংবাদিক সম্মেলন

- ছবি : সংগৃহীত

শ্রমজীবী ও নদীভাঙা ৬০টি পরিবার বাড়ি করার জন্য বায়নার বেশিরভাগ টাকা পরিশোধের পরেও দীর্ঘ চার বছর পর্যন্ত জমির কবলা না দেয়ায় এক ভূমি প্রতারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় হাতিয়ায় ৭ নম্বর তমরদ্দি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে আয়োজিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী ৬০টি পরিবার তাদের অধিকার ও জমির কাগজ রেজিষ্ট্রি পাওয়ার জন্য আবদুল আলী কর্তৃক অমানবিক ও অমানসিক হয়রানি থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রতিকার পাওয়ার লক্ষ্যে সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধনের এ আয়োজন করা হয়।

এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, ২০২০ সালে আঠারো বেকী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আলী থেকে তারা বাড়ি করার উদ্দেশ্যে জমি বায়না করেন। সে মোতাবেক তারা প্রত্যেকে জমির মূল্য বাবদ বেশিরভাগ টাকা পরিশোধ করে ঘর নির্মাণ করে বসতি স্থাপন করেন। গত চার বছর যাবত জমির দলিল রেজিস্ট্রি করার জন্য বারবার বলা হলেও আবদুল কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অবশেষে ভুক্তভোগী ৬০ পরিবার হাতিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী কন্টিনজেন্টের কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। জায়গার মালিক আবদূল আলীকে নৌ-বাহিনী ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয় এবং আবেদনকারীদের আবেদনটি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাতিয়া থানায় পাঠায় করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদুল আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো প্রতারণা করিনি। তারা সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যন ফররুখ আহমেদ ও তার লোকজন দিয়ে তমরদ্দি বাজার থেকে আমাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। সেখানে প্রাণের ভয় দেখিয়ে ৩৩ সেট বা লেখাবিহীন ৯৯টি স্ট্যাম্পে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরবর্তীতে রাতের অন্ধকারে আমার জমিতে মাটি কেটে বাড়ি ঘর তৈরি করে লোকজন বসিয়ে দেয়। এ সংক্রান্ত একটি মামলা হাতিয়া বিচারিক আদালতে চলমান আছে।


আরো সংবাদ



premium cement