নোয়াখালীতে জামায়াতের মজলিশে শূরার অধিবেশন অনুষ্ঠিত
মুছাপুর ক্লোজারের সংস্কারের দাবি- মুহাম্মদ হানিফ ভুঁইয়া, নোয়াখালী অফিস
- ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:১২
নোয়াখালী জেলা জামায়াতের মজলিশে শূরার অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শূরার বৈঠকে নোয়াখালীতে বন্যা ও বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি আলোচনা হয়।
জেলা মজলিশের শূরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে নোয়াখালী, দক্ষিণ কুমিল্লা এবং ফেনী জেলার মোট ১৩টি উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জোয়ারের লোনাপানি প্রবেশ রোধে নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ মুছাপুর ক্লোজার ছিল একটি গুরত্বপূর্ণ স্থাপনা।
নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও ক্লোজারের ভাটিতে আওয়ামী লীগের দুর্নীতিপরায়ণ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ক্লোজারের অতি কাছে বালু উত্তোলন করায় বর্তমান বন্যায় এটি ডুবে যায়। এতে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর, চরপার্বতী এবং চরহাজারী, সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নে হাজার হাজার অধিবাসীর বাড়িঘর, জমিন হাটবাজার, মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে। অক্টোবর থেকে উজানে ও ভাটিতে এলাকায় লোনাপানি প্রবেশ করায় সম্ভাবনাময় কৃষি ও মৎস্য সম্পদ বড় ধরণের হুমকিতে পড়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে মজলিসে শূরা জোয়ার ও লোনাপানি প্রবেশ রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে ক্লোজারটি অতিদ্রুত পূন:নির্মাণ করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছে। একইসাথে অসাধু দুর্নীতিপরায়ণ বালু উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং নদী ড্রেজিং করে ভাঙ্গনের হাত থেকে কোম্পানীগঞ্জ সোনাগাজীবাসীকে রক্ষার জোর দাবি জানাচ্ছে।
নোয়াখালী জেলার আট উপজেলার ৮৩ ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষের ঘর বাড়ি, গবাদিপশু, মৎস্য খামার ও কৃষি সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে। মজলিসে শূরা অবিলম্বে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে দ্রুত গৃহনির্মাণ দাবি জানান।