২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পাশ্ববর্তী মিয়ানমার অশান্ত হলেও নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা শান্ত

পাশ্ববর্তী মিয়ানমার অশান্ত হলেও নাইক্ষ‍্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা শান্ত - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ-মায়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত অঞ্চল অরক্ষিত। বিনা বাধায় এই সীমান্ত পথ দিয়ে দু’দেশে সহজেই আসা-যাওয়া করা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিস্থিতি সত্যিই বেশ কঠিন। কারণ মিয়ানমারের সাথে আমাদের সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২৭১ কিলোমিটার। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী যদি তৎপর না থাকে, তাহলে শুধু আমাদের পক্ষে এই দীর্ঘ সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখা কঠিন। কারণ এত লোকবল এবং রসদ আমাদের নেই।’

এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে ফের মিয়ামারের অভ‍্যন্তরে বতর্মানে অশান্ত অবস্থা বিরাজ করছে। বিদ্রোহী আরকান আর্মি এবং মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সাথে গত কয়েক বছর ধরে টানা যুদ্ধ চলে আসছে। এই যুদ্ধের কারণে মিয়ানমার অভ‍্যন্তরে দু’পক্ষ এবং সাধারণ মানুষের জান মালের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপকভাবে। বিগত সময়ে নাইক্ষ‍্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার প্রায় এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ আধিপত্যের কারণে চলা যুদ্ধের প্রভাব এসে পড়েছিল নাইক্ষ‍্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায়।

সম্প্রতি ঘুমধুম এলাকায় মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার ভেতরে থেকে আরকান আর্মি এবং জান্তা বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে ব্যবহারিত অসংখ্য গুলি, রকেট লাঞ্চার, নাইক্ষ‍্যংছড়ির তুমব্রু এলাকার ভেতরে এসে সাধারণ মানুষ আহত এবং নিহতের মতো ঘটনা ঘটেছে কয়েকবার। ঘটনার পরে ওই এলাকার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল অন্যত্র। বন্ধ রাখা হয়েছিল কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আক্রান্ত এলাকাতে জরুরি পরিদর্শনে আসেন সামরিকর-আধা সামরিক সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।

অপর দিকে নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের জামছড়ি এলাকার বতর্মান ইউপি সদস্য মো: সাবের তার এলাকার জামছড়িতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মিয়ানমারের ভেতর থেকে গুলি এসে তার কোমরে ঢুকে পড়ে বলে জানান। পরে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে অপারেশনের মাধ্যমে গুলি বের করা হয়। ওই সময় তার বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে।

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, তার সীমান্ত এলাকা পুরোপুরি শান্ত রয়েছে বেশ কিছু দিন পযর্ন্ত।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো: শফিক এবং মো: আলম জানান, বতর্মানে সীমান্ত এলাকায় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা না থাকার কারণে সাধারণ জনগণ তাদের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বিঘ্নে।

দৌছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইমরান জানান, তাদের সীমান্ত এলাকা একেবারে শান্ত। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে বড় কোনো সংঘর্ষের প্রভাব তার এলাকায় আসেনি।

উল্লেখ, এই রিপোর্ট লেখা কালীন সময় রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ২০ মিনিট পর্যন্ত নাইক্ষ‍্যংছড়ির কোনো সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে কোনো প্রকার সংঘর্ষ বা গোলাগুলি ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement