১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র একটি বিলাসী প্রকল্প : জ্বালানি উপদেষ্টা

মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র - ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘প্রকল্প বিলাস’ বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

এ প্রকল্প থেকে সাধারণ মানুষ খুব বেশি উপকৃত হচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, মূল প্রকল্পের ধারণা অনুসারে গভীর সমুদ্রবন্দর, শিল্প-কারখানা, রেল ও সড়ক সংযোগ না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিলাসী প্রকল্প থেকে সরকার সরে আসবে।

তিনি আরো বলেন, জনগণ সরাসরি উপকৃত হয় না এরকম প্রকল্প গ্রহণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ছোট প্রকল্পে মনোযোগী হবে সরকার। যাতে তা মানুষের কাজে আসে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদনের জন্য মাত্র ৩০ দিনের কয়লা মজুদ আছে। খুব শিগগিরই এ সংকটের সমাধান হবে। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশের কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য যথাসময়ে কয়লা আমদানি করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘মাতারবাড়ীতে যে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে তা একটি বিলাসী প্রকল্প। প্রকল্প গ্রহণকালে প্রথমে ৩৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তা ৫৭ হাজার কোটি টাকা এই প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়িয়েছে। অথচ এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মাত্র ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি প্লান্ট করা হয়েছে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়নকালে মেঘা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগগুলো তদন্ত করা হবে বলে জানিয়ে তিনি জানান, ইতোমধ্যে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের এমডি আবুল কালাম আজাদকে প্রকল্প পরিচালক থেকে বাদ দিয়ে নতুন এমডি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, বিগত সরকার অসংখ্য মেঘা প্রকল্প গ্রহণ করেছে যেগুলো এখন জনগণের সরাসরি উপকারে আসছে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো: নুরুল আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক প্রমুখ।

এর আগে শুক্রবার সকালে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছান। পরে তিনি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে যান।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন শেষে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর ও এসটিএম প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণের প্রস্তাব রাজবাড়ীতে সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি-ওসিসহ ৭ জনের নামে মামলা গজারিয়ায় মামলা তুলে না নেয়ায় ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা ভারতের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান শ্রীনগরে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক ৩ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেল করলে জাতির দুর্ভোগ আছে : এ্যানি সংবিধান সংস্কার কমিশন : শাহদীন মালিক বাদ, প্রধান আলী রীয়াজ শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময়কে রাজনৈতিক সভা বলে আমাদের বিব্রত করা হচ্ছে : সারজিস আলম ইসলামী ব্যাংকে বৈষম্যের মুলোৎপাটনের দাবি পেশাদার ব্যাংকারদের বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পর্বাতারোহণের ৫ লোকেশন আপাতত স্থগিত থাকবে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা

সকল