টেকনাফে অতি বৃষ্টিতে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত
- হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া (কক্সবাজার)
- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:১৯
টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। এর ফলে ফসলী জমি, ক্ষেত খামার, চিংড়ি ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। গভীর রাতে ধমকা হাওয়ায় অনেক বাড়ি ঘর ও ঘেরা বেড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পড়ে গেছে গাছপালা। টেকনাফ উপজেলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বৃষ্টি অব্যহত থাকলে ভোগান্তিতে পড়বে হাজার হাজার মানুষ।
টেকনাফে গত মঙ্গলবার থেকে একটানা ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ছয়টি, হ্নীলা ইউনিয়নের পাঁচটি, টেকনাফ পৌরসভার চারটি, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দুটি, সাবরাং ইউনিয়নের তিনটি ও বাহারছড়া ইউনিয়নের দুটি গ্রাম।
সেন্টমার্টিন দ্বীপেও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর জানিয়েছেন স্থানীয় নুরুল আবছার। ওয়াব্রাং এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, নাফনদীর স্লুইস গেইটের কাজ চলছে। যার কারণে জোয়ারের পানি গ্রামে চলে আসে এবং কৃষি ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নের প্রায় তিন-চার গ্রামের চার হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী রয়েছে।
এসব গ্রাম হল জালিয়াপাড়া, সাইটপাড়া, ফুলের ডেইল, আলী আকবর পাড়া, রঙ্গিখালী লামার পাড়া, আলীখালী, চৌধুরী পাড়া, পূর্ব পানখালী, মৌলভী বাজার লামার পাড়া, ওয়াব্রাং, সুলিশপাড়া ও পূর্ব সিকদার পাড়া।
এসব গ্রামের চলাচলের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির নুর আহমদ আনোয়ারি জানিয়েছেন, লম্বা বিল, উলুবনিয়া, আমতলী, মিনাবাজার, কাঞ্জনপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, রইক্ষ্যং গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে তিন শতাধিক পরিবার পানিতে প্লাবিত রয়েছে। এরমধ্যে উনচিপ্রাং এলাকার একটি রাসস্তা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বসতবাড়িগুলোতে প্রায় দুই-তিন ফুট পানি উঠেছে। বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন জানান, ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের কমবেশি পানিবন্দী। সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে ১০ গ্রাম। এতে দুই হাজার পরিবার খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছেন।